চলন্ত ট্রেনে `থ্রি ইডিয়েটস`! ডাক্তারির ছাত্রের হাতে সফল প্রসব
সিনেমা হল সত্যি। `থ্রি ইডিয়েটস` সিনেমায় ঝড় জলের রাতে ভ্যাকুয়্যুম ক্লিনার দিয়ে আনাড়ি হাতে আমির খানের সফল ডেলিভির দৃশ্যটা মনে আছে? অনেকটা যেন সেই দৃশ্যই দেখল বাস্তবের ট্রেনযাত্রীরা। তবে এক্ষত্রে `ডাক্তারবাবু`র ভূমিকায় কোনও `ইঞ্জিনিয়ার` ছিলেন না, ছিলেন এক ডাক্তারি পড়ুয়া। কিন্তু সে পাশ করা ডাক্তার নয়, নবীন ছাত্র। তিনিই করালেন প্রসব।
ওয়েব ডেস্ক: সিনেমা হল সত্যি। "থ্রি ইডিয়েটস" সিনেমায় ঝড় জলের রাতে ভ্যাকুয়্যুম ক্লিনার দিয়ে আনাড়ি হাতে আমির খানের সফল ডেলিভির দৃশ্যটা মনে আছে? অনেকটা যেন সেই দৃশ্যই দেখল বাস্তবের ট্রেনযাত্রীরা। তবে এক্ষত্রে 'ডাক্তারবাবু'র ভূমিকায় কোনও 'ইঞ্জিনিয়ার' ছিলেন না, ছিলেন এক ডাক্তারি পড়ুয়া। কিন্তু সে পাশ করা ডাক্তার নয়, নবীন ছাত্র। তিনিই করালেন প্রসব।
মহারাষ্ট্রের চলন্ত ট্রেনে হঠাত্ প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় এক মহিলার। ওই কামরারই যাত্রী, বছর চব্বিশের এমবিবিএস পড়ুয়া বিপিন খাড়সে এগিয়ে আসেন সাহায্যে। হোয়াটস অ্যাপের সাহায্যে বিপিন যোগাযোগ করেন তাঁর সিনিয়রদের সঙ্গে। তাঁদের থেকেই পরামর্শ নিয়ে সফল ভাবে প্রসব করিয়ে ফেলেন। কিন্তু প্রসব তো নয় হল, সদ্যজাত যে কাঁদছে না, শ্বাসপ্রশ্বাসও বন্ধ! কী হবে? ঠিক যেন হুবহু "থ্রি ইডিয়েটস"-এর দৃশ্য।
তারপর নিজের ডাক্তারি জ্ঞান ও সিনিয়রদের সহায়তা নিয়ে শিশুটিকে প্রাথমিক 'ট্রিটমেন্ট' করেন বিপিন...আর তাতেই কাঁদতে শুরু করে শিশুটি। উত্কণ্ঠা কাটিয়ে হাসি ফোটে উপস্থিত যাত্রীদের মুখে। প্রবল যন্ত্রণার মধ্যেও খুশিতে ভরে ওঠে সদ্য মা হওয়া মহিলার মুখ। খুশি বিপিন খাড়সেও। ডাক্তারি পরীক্ষায় পাশ কারার আগেই, জীবনের পরীক্ষায় পাশ করে গেলেন তিনি। তবে ডাক্তারবাবুকে নিরাশ করেননি শিশুটির বাবা-মা। সাম্মানিক ফি হিসাবে বিপিনের হাতে তুলে দিয়েছেন একশো এক টাকা। আর এভাবেই মধুরেণ সমাপয়েত্।
সত্যি, হাজার খারাপ খবরের ভিড়ে এমন দু'একটা ভাল খবর মনটাকে ভাল করে দেয়। কি বলেন? (আরও পড়ুন- রসগোল্লার রং কী? )