নিজস্ব প্রতিবেদন: ভগবানকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। মহামারী প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলেও এই পরিস্থিতি মানুষই তৈরি করেছে। বর্তমান অর্থমন্ত্রীকে এভাবেই একহাত নিলেন প্রাক্তন। একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলে সাক্ষাত্কারে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন, এই করোনা পরিস্থিতি একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ভগবানের উপর দোষ চাপিয়ে লাভ নেই। উল্টে ভগবানকে ধন্যবাদ জানানো উচিত দেশের কৃষকদের উপর আশীর্বাদ করার জন্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দিতে অক্ষম জানিয়ে নির্মলা সীতারামনের সাফাই ছিল, ভগবানের মার। সে কারণে এই মুহূর্তে রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনে হকের টাকা পেতে রাজ্যগুলিকে ধার করার পরামর্শ দেন তিনি। যা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাত চরমে উঠেছে। অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যও। নির্মলার এই দাওয়াই প্রসঙ্গে এ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেছেন, নির্মলা যে ‘অ্যাক্ট অব গডের’ কথা বলছেন, আসলে তা ‘অ্যাক্ট অব ফ্রড’। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে বলে তোপ দাগেন অমিত।


একই সুরে এ দিন সুর চড়ালেন কংগ্রেস সাংসদ পি চিদম্বরমও। তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী যে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে আত্মনির্ভর ভারতে বার্তা দিয়েছেন, আসলে তিনি দেশবাসীর সঙ্গে তামাসা করছেন। তিনি মনে করেন, সত্যি সত্যিই এই মুহূর্তে গরিবের হাতে টাকা দেওয়া প্রয়োজন। দরকার হলে ধার করে বাজারে নগদের জোগান দিক সরকার। খাদের কিনারা থেকে ফিরে আসার এটাই একমাত্র পথ বলে মনে করেন তিনি।


সোমবার চলতি বছরের ত্রৈমাসিক জিডিপির রিপোর্ট আসে। গত ৪০ বছরে এই প্রথম জিডিপি সঙ্কুচিত হলো। তা-ও আবার এক ধাক্কায় প্রায় ২৪ শতাংশ। উত্পাদন, পরিকাঠামো, আবাসন, হোটেল-সহ একাধিক ক্ষেত্র সঙ্কুচিত হয়েছে। শুধুমাত্র কৃষিক্ষেত্র বৃদ্ধি পেয়েছে ৩.৪ শতাংশ। কেন্দ্রের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কে ভি সুব্রহ্মণ্যনের যুক্তি লকডাউনের জেরে জিডিপি মুখ থুবড়ে পড়েছে। আগামী দিনে ‘ভি আকৃতি পুনরুদ্ধারের’ দিকে এগোবে দেশের জিডিপি। সুব্রহ্মণ্যনের যুক্তি উড়িয়ে চিদম্বরম বলেন, তাঁর কথাকে কেউ গম্ভীরভাবে নিচ্ছেন কিনা সন্দেহ আছে!


আরও পড়ুন: ভারত-চিন সীমান্তে এবার পিনাক মিসাইল সিস্টেম, ৩ সংস্থার সঙ্গে চুক্তি কেন্দ্রের