নয়া দিল্লি: কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে নোটিশ দিয়ে তাঁর স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের রহস্য মৃত্যুর তদন্তে অংশগ্রহণ করতে বলল দিল্লি পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রে খবর, তত দ্রুত সম্ভব থারুরকে তদন্তে অংশগ্রহণ করতে বলেছে পুলিস।


শীর্ষ স্থানীয় এক পুলিস কর্তা জানিয়েছেন ''একটি আইনি নোটিশ জারি করে শশী থারুরকে তদন্তে অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে। সিআরপিসি-এর ১৬০ ধারা অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।''


সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যুর ময়নাতদন্তের ফাইনাল রিপোর্টের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিস দু'দিন আগেই খুনের মামলা রুজু করেছে।


দিল্লি পুলিস ইতিমধ্যেই সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যু রহস্য সমাধানে এক বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে।  


মঙ্গলবার, দিল্লি পুলিস কমিশনার জানিয়েছিলেন মেডিক্যাল রিপোর্টের ভিত্তিতে জানিয়ে ছিলেন বিষক্রিয়ার মাধ্যমে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুরের স্ত্রীর। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ নম্বর ধারায় একটি খুনের মামলা দায়ের করা হলেও এখনও পর্যন্ত সন্দেহভাজন হিসাবে এফআইআর-এ কারোর নাম উল্লেখ করা হয়নি।


২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির এক পাঁচ তারা হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় ৫১ বছরের সুনন্দা পুষ্করের মৃতদেহ।


গত ২৯ ডিসেম্বর এইমস-এর মেডিক্যাল বোর্ড পুলিসকে রিপোর্ট পেশ করে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী পোলোনিয়াম জাতীয় বিষ খাইয়ে অথবা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে সুনন্দার শরীরে প্রবেশ করানো হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী এই পোলোনিয়ামই সুনন্দার মৃত্যুর মূল কারণ।


এই মেডিক্যাল রিপোর্টে স্পষ্ট জানানো হয়েছে সুনন্দার কোন কার্ডিয়াক সমস্যা ছিল না। হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস বা টিউবারকিউলোসিসেও ভুগছিলেন না তিনি।


অর্থাৎ, মৃত্যুর আগে শারীরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন সুনন্দা।


মেডিক্যাল বোর্ড অনুযায়ী সুনন্দার শরীরে পাওয়া ১৫টি আঘাতের চিহ্নের  মধ্যে ১০ নম্বরটি ইঞ্জেকশনের।


অ্যালপ্রাজোলাম জাতীয় ওষুধের ওভারডজের ফলে সুনন্দার মৃত্যুর তত্ত্বটিও খারিজ করেছে দায়িত্বাধানী মেডিক্যাল টিম।