Supreme Court: মাতৃত্ব চাপিয়ে দেওয়া যায় না, ধর্ষণে ২৭ সপ্তাহেও গর্ভপাতের অনুমতি সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, `মাতৃত্ব চাপিয়ে দেওয়া যায় না। কীভাবে আপনি একটি অন্যায্য শর্ত চিরস্থায়ী করতে পারেন এবং ধর্ষিতাকে গর্ভধারণ করতে বাধ্য করতে পারেন?`
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক ধর্ষণ মামলার শুনানিতে বেনজির রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা এক ধর্ষিতাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। গর্ভপাতের অনুমতির জন্য দায়ের করে পিটিশন করেছিল গুজরাক হাইকোর্টে। যা প্রত্যাখ্যান করেছিল হাইকোর্ট। শীর্ষ আদালত ইতিমধ্যেই ওই মহিলার আবেদন গ্রহণ করার পর গুজরাত হাইকোর্টকে ভৎর্সনাও করে। সুপ্রিম কোর্ট বলে, এটি সাংবিধানিক দর্শনের পরিপন্থী।
সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, "মাতৃত্ব চাপিয়ে দেওয়া যায় না। কীভাবে আপনি একটি অন্যায্য শর্ত চিরস্থায়ী করতে পারেন এবং ধর্ষিতাকে গর্ভধারণ করতে বাধ্য করতে পারেন?" সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হাইকোর্টের পাল্টা বিস্ফোরণকে সাধুবাদ জানিয়ে এক আধিকারিক বলেন, 'গুজরাত হাইকোর্টে কী হচ্ছে? বিচারকরা কি উর্ধ্বতন আদালতের আদেশের এভাবে উত্তর দেন? আমরা এসবের কদর করি না। কোনও আদালতের মাননীয় বিচারককে তাদের আদেশের যৌক্তিকতা প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই।'
আদালতে পেশ করা মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়, এ পর্যায়ে কোনও মহিলার গর্ভধারণ নিরাপদে শেষ করা যায়। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ভ্রূণ বেঁচে থাকলে, ইনকিউবেশনে রেখে শিশুটিকে বাঁচানোর বিষয়টি নিশ্চিত করবে হাসপাতাল। আইন অনুযায়ী শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের হবে বলেও আদালত স্পষ্ট করেছে।
ধর্ষিতাকে নতুন করে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর আবেদন করার পর গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশে পরিচালিত সর্বশেষ মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি মেডিক্যাল প্রসিডিউরের জন্য উপযুক্ত। অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তান জন্ম দেওয়া বা না দেওয়া আমাদের সামনে এমন একটি বিষয় যা গুজরাত হাইকোর্ট বিবেচনা করেনি। মেয়েটিকে মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে হাজির করানো হোক। মেয়েটিকে মেডিক্যাল টার্মিনেশনের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্তে হাইকোর্ট ঠিক ছিল না। আমাদের দৃষ্টিতে মেডিক্যাল রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও এটা ঠিক নয়।
আরও পড়ুন, Onion Price: মাত্র ২৫ টাকা কেজি, আগামিকাল থেকে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করছে সরকার