নিজস্ব প্রতিবেদন: চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে আর কত প্রজন্ম ধরে সংরক্ষণ চলবে, শুক্রবার মরাঠা সংরক্ষণ নিয়ে মামলায় এমনটা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এর পাশাপাশি ৫০ শতাংশ সংরক্ষণে (Reservation) ফলে 'অসাম্য' (resultant inequality) নিয়েও আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বেঞ্চ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চাকরি ও শিক্ষায় মরাঠাদের জন্য ১৬ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার (Maharashtra Govt)। তা চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ওই মামলায় মহারাষ্ট্র সরকারের আইনজীবী মুকুল রহতোগি সওয়াল করেন,'পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মণ্ডল কমিশনের সংরক্ষণের উর্ধ্বসীমা নিয়ে পুনর্বিবেচনা দরকার।' তাঁর যুক্তি, সংরক্ষণের (Reservation) বিষয়টি রাজ্যগুলির হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত আদালতের। ১৯৩৫ সালের জনগণনার উপর ভিত্তিতে মণ্ডল রায় (Mandal judgement) দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করিয়ে দেন রহতোগি। তিনি বলেন,'আর্থিকভাবে দুর্বলদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটাও তো ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের ঊর্ধ্বসীমাকে লঙ্ঘন করছে।'      


সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ,'আপনি যা বলছেন, সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ অথবা কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই, তাহলে সাম্যের সংজ্ঞাটা কী? এর ফলে যে অসাম্য তৈরি হবে তা নিয়ে কী বলবেন? আর কত প্রজন্ম ধরে এটা চালিয়ে যেতে হবে।' আদালত আরও পর্যবেক্ষণ, 'স্বাধীনতার পর ৭০ বছর কেটে গিয়েছে। একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়েছে রাজ্যগুলি। তাহলে কি এটা মেনে নিতে হবে, কোনও উন্নয়নই হয়নি। অনগ্রসর শ্রেণির মানোন্নয়ন হয়নি!' 


রহতোগি বলেন,'হ্যাঁ, আমরা অনেকটা এগিয়েছি। কিন্তু, অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ ৫০ থেকে ২০ শতাংশ হয়ে যায়নি। দেশে এখনও বহু মানুষ অভুক্ত থাকেন। আমি যেটা বলতে চাইছি,৩০ বছর কেটে গিয়েছে। আইনের বদল হয়েছে। জনসংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে পিছিয়ে পড়ার শ্রেণির মানুষের সংখ্যাও।'   


আরও পড়ুন- 'ভয়াবহ পরিস্থিতি, একটাই অপশন Lockdown': উদ্ধব ঠাকরে