রাজ্যসভা নির্বাচনে বাতিল নোটা : সুপ্রিম কোর্ট
নোটা বা NOTA-র পুরো কথাটি হল None of the above। ০১৪ সাল থেকে রাজ্যসভা নির্বাচনে নোটার ব্যবহার শুরু হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : নোটা নিয়ে বড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যসভা নির্বাচনে নোটা থাকবে না। এমনই নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।
রাজ্যসভা ভোটেও নোটা রাখার দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। দেশের শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছে সেই আর্জি। তাই এখন থেকে রাজ্যসভা ভোটে আর নোটা-র ব্যবস্থা থাকবে না। শুধুমাত্র প্রত্যক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রেই নোটা স্বীকৃত। প্রত্যক্ষ নির্বাচন বলতে বিধানসভা, লোকসভা বা স্থানীয় (পৌর/পঞ্চায়েত) নির্বাচনকেই বোঝানো হয়েছে।
নোটা বা NOTA-র পুরো কথাটি হল None of the above। অর্থাত্ নির্বাচনে নথিভুক্ত প্রর্থীদের মধ্যে যদি নির্বাচক কাউকেই যোগ্য বলে মনে না করেন, সে ক্ষেত্রে কাউকেই না বাছার অধিকার দিয়ে থাকে নির্বাচন কমিশন। সেই ব্যবস্থাই হল নোটা। নোটা বোতামটি টিপলে নির্বাচকের ভোট একদিকে যেমন বাতিল হয় না, ঠিক তেমনই পছন্দ না হলেও কাউকে বেছে নিতে বাধ্য হন না নির্বাচক।
আরও পড়ুন, কেরলের বন্যা 'জাতীয় বিপর্যয়' নয়, 'গুরুতর দুর্যোগ' ঘোষণা কেন্দ্রের
উল্লেখ্য,২০১৪ সাল থেকে রাজ্যসভা নির্বাচনে নোটার ব্যবহার শুরু হয়। এরপর ২০১৫ সাল থেকে সার্বিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইভিএম বা ব্যালট পেপারে নোটাকে স্বীকৃতি দেয় নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকেই নির্বাচনে নোটার ব্যবহার শুরু হয়েছে। কিন্তু, রাজ্যসভার ভোটে এই ব্যবস্থা রাখা যাবে না বলে নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আজ এই রায় দেয়।
সুপ্রিম কোর্ট বলে, প্রত্যক্ষ নির্বাচনে একজননির্বাচক নোটা প্রয়োগ করতে পারেন। কিন্তু রাজ্যসভার মতো যেখানে পরোক্ষ ভোটিং হয়, সেখানে নোটা প্রয়োগ করা যাবে না। প্রসঙ্গত, ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় আইনসভাকে বলা হয় সংসদ। এই সংসদ ২ কক্ষ বিশিষ্ট। যথা- লোকসভা ও রাজ্যসভা। লোকসভায় রয়েছে ৫৪৩টি আসন। দেশের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকরা লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রত্যক্ষভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে থাকেন। সেই ভোটের ভিত্তিতেই ৫৪৩টি আসনের জনপ্রতিনিদিদের নির্বাচন করা হয়ে থাকে। প্রতি ৫ বছর অন্তর লোকসভা নির্বাচন হয়ে থাকে।
অন্যদিকে, রাজ্যসভার আসনসংখ্যা ২৪৫। এক্ষেত্রে কোনও প্রত্যক্ষ নির্বাচন হয় না। ২৪৫ জনের মধ্যে ২৩৩ জন প্রতিনিধিকে বেছে নেন বিধায়করা। অর্থাত্ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আইনসভার সদস্যরা (বিধায়ক) ভোট দিয়ে রাজ্যসভার সদস্যদের নির্বাচন করেন। একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে এই নির্বাচন হয়। এক্ষেত্রে কোনও রাজ্যের আইনসভায় নির্দিষ্ট একটি দলের যতজন বিধায়ক থাকেন, তার উপর ভিত্তি করেই সেই রাজ্য থেকে ওই নির্দিষ্ট দলের রাজ্যসভার সাংসদ সংখ্যা নির্ণীত হয়।
আরও পড়ুন, যোগীর বিরুদ্ধে কেন আইনি পদক্ষেপ করা হবে না, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
রাজ্যসভার বাকি ১২ জন সদস্যকে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে মনোনয়ন করা হয়। উল্লেখ্য, রাজ্যসভার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সদস্যের মেয়াদ ৬ বছর। প্রতি ২ বছর অন্তর এক-তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর নেন। আবার একই পদ্ধতিতে পূরণ করা হয় সেই শূন্যস্থান।