নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর ভারতের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ নির্মাণের ফলে বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে। পাশাপাশি খনি মাফিয়াদের দৌরাত্মে অন্যান্য রাজ্যও বিপন্ন। এনিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মোবাইল টাওয়ার লোকেশনই ধরিয়ে দিল অর্চনা পালংদার খুনে জড়িত 'তৃতীয় ব্যক্তি'কে!  


সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলায় দেখা যাচ্ছে গত কয়েক বছরে উধাও হয়ে গিয়েছে রাজস্থানে আরাবল্লী রেঞ্জের ৩১ পাহাড়। ফলে বাধ্য হয়েই রাজস্থানে ১১৫.৩৪ হেক্টর জমিতে বেআইনি খনন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর তা করতে হবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। ফরেস্ট সার্ভে অব ইন্ডিয়ার একটি তথ্য অনুযায়ী ওই পাহাড় উধাও হওয়ার ঘটনাটি সামনে এসেছে আদালতের।


মঙ্গলবার ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি মদন বি লোকুর ও বিচারপতি দীপক গুপ্তার বেঞ্চ মন্তব্য করে, আরাবল্লীর পাহাড়ি এলাকায় খনন কার্ষের ফলে রাজস্থান সরকার প্রতি বছর ৫০০০ কোটি টাকা আয় করে। কিন্তু তার জন্য দিল্লির লাখ লাখ মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে না। রাজধানীতে যে ভয়ানক দূষণ তার একটা কারণ ওই পাহাড় উধাও হয়ে যাওয়া হতে পারে।


আরও পড়ুন-"মুসলিম সমাজের নেতা মোদী! দেখাচ্ছেন সঠিক দিশা"


বিচারপতি লোকুর রাজস্থান সরকারের আইজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘৩১টি পাহাড় উধাও হয়ে গিয়েছে। দেশ যদি একের পর এক পাহাড় উধাও হয়ে যায় তাহলে দেশের কী হবে? মানুষ কি হনুমান হয়ে গিয়েছে যে পাহাড় কাঁধে তুলে নিয়ে পালাচ্ছে? রাজস্থানের ১৫-২০ শতাংশ পাহাড় উবে গিয়েছে। এনিয়ে কবে ব্যবস্থা নেবেন?’


অবৈধ খনন নিয়ে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা ২৯ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সরকারের বিরুদ্ধে কেন এমন অভিযোগ উঠছে তারও ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।