নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেলেন পতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল। গুজরাত আদালত তাঁর শাস্তি রদের আর্জিতে সাড়া না দেওয়ায় হার্দিক প্যাটেল সুপ্রিম কোর্টে জরুরি শুনানির আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই আবেদনও সাড়া দিল না শীর্ষ আদালত। যার ফলে লোকসভা নির্বাচনে ভোটে লড়া কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ল সদ্য কংগ্রেসে আসা এই তরুণ নেতার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আজ শুনানির সময় হার্দিকের আইনজীবীর কাছে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, কীসের তাড়া? আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে তাঁর শাস্তি রদের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ইতিবাচক পদক্ষেপ না করলে তাহলে গুজরাট থেকে তাঁর ভোটে লড়ার অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। কারণ, ওই দিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।


উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে গুজরাতে পতিদার আন্দোলনের সময় হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে হার্দিক প্যাটেলের বিরুদ্ধে। গত বছর তাঁরে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করে গুজরাত আদালত। পরে তাঁর কারাদণ্ড কার্যকর রদ করে আদালত। আপাতত জামিনে রয়েছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে আটকে যাচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল। কারণ, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি ভোটে লড়তে পারেন না।


আরও পড়ুন- রাহুল এখনও ‘আমূল বেবি’-ই রয়ে গিয়েছেন, কংগ্রেস সভাপতিকে তোপ অচ্যুতানন্দনের


গত সপ্তাহে কংগ্রেসে যোগ দেন হার্দিক প্যাটেল। জানা যাচ্ছিল, গুজরাতে জামনগর কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়তেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টে এই জনপ্রিয় নেতা ধাক্কা খাওয়ার পর কার্যত বিপাকে কংগ্রেসও। হার্দিক অভিযোগ করেন, আমার অপরাধ বিজেপির কাছে মাথা নত করিনি। সরকারের বিরুদ্ধে লড়ার ফল এটি। তবে, হার্দিকের হুঁশিয়ারি, আমরা ভয় পাচ্ছি না। কংগ্রেসের সরকার নিয়ে আসতে সাধারণ মানুষকে সত্য তুলে ধরব। গুজরাটে প্রচার চালিয়ে যাবেন বলে জানান হার্দিক।