নিজস্ব প্রতিবেদন : আট রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণা করতে হবে। এই আর্জি নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। তাঁর দায়ের করা সেই আর্জিকে এবার সরাসরি খারিজ করে দিল আদালত। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে একমাত্র সংখ্যালঘু কমিশনই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর, পঞ্জাব, লাক্ষাদ্বীপ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ ও মণিপুরে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। তাই কেন্দ্র এখনই এই রাজ্যগুলিতে হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণা করুক।


আরও পড়ুন- জিএসটি বৈঠক : দাম কমল ১৭৭ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের, ২৮ শতাংশ কর শুধুমাত্র ৫০ পণ্যে


২০১১ সালের জনগণনার তথ্য তুলে ধরে পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, এই রাজ্যগুলিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে হিন্দু জনসংখ্যা কম রয়েছে। তবুও প্রচারে অভাবে সেখানে সরকারি ভাতা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ পাওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছে হিন্দুরা।  


শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। বিচারপতি রঞ্জন গগৈইয়ের নেতৃত্বে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ শুরুতেই সেই পিটিশন খারিজ করে দেন। বিচারপতির বক্তব্য, ''সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। একমাত্র সংখ্যালঘু কমিশনই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।''


প্রসঙ্গত ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে লাক্ষাদ্বীপে ২.৫ শতাংশ, মিজোরামে ২.৭৫ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৮.৭৫ শতাংশ, মেঘালয়ে ১১.৫৩ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ২৮.৪৪ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে ২৯ শতাংশ, মণিপুরে ৩১.৩৯ শতাংশ ও পঞ্জাবে ৩৮.৪০ শতাংশ হিন্দু বসবাস করেন। অন্যদিকে, ১৯৯৩ সালে কেন্দ্রীয় সরকার মুসলমান, খ্রীষ্টান, শিখ, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ও পার্সিদের সংখ্যালঘু বলে ঘোষণা করেছে। ২০১৪ সালে সেই তালিকায় যোগ হয় জৈনরা।