নিজস্ব প্রতিবেদন: দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে রাফাল রায়ের পুনর্বিবেচনার রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, চৌকিদার চোর বিতর্কে রাহুলের সুপ্রিম কোর্টে অবমাননার বিষয়টিও সংরক্ষিত রাখা হয়। শুনানি পর্বের শুরুতেই আবেদনকারী প্রশান্ত ভূষণ প্রশ্ন তোলেন নিয়ম মেনে রাফাল চুক্তি করা হয়নি। ভূষণ দাবি করেন, রাফালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন ‘ইন্টারন্যাশনাল নেগোশিয়েটিং টিম’ (আইএনটি)-র ৭ সদস্যের ৩ সদস্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এ ছাড়া, অভ্যন্তরীণ সরকারের চুক্তি অনুযায়ী, দুর্নীতি দমন, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার বিষয়টির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন প্রশান্ত ভূষণ। নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে প্রতিরক্ষা ক্রয়ের গুরুত্বপূর্ণ ৮ সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয় বলে ভূষণের অভিযোগ। রাফাল চুক্তি প্রক্রিয়ায় অনিল অম্বানি বিশেষ সুবিধা পেয়েছে বলে দাবি ভূষণের। রাফাল দর কষাকষিতে প্রধানমন্ত্রী দফতর পাশাপাশি যে আলোচনা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বের বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। উল্লেখ্য, রাফাল সংক্রান্ত ‘চুরি’ হওয়া কিছু নথি থেকে এ বিষয়টি জানা যায়। যদিও কেন্দ্রের তরফে ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করে।


আরও পড়ুন- প্রচারপত্র বিতর্কে গুরু-গম্ভীর দিল্লি, মানহানির নোটিস গৌতির, পালটা হুঁশিয়ারি কেজরীবালেরও


এ দিন দ্বিতীয় আবেদনকারী অরুণ শৌরি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে যথাযথ নথি পেশ না করে আদালতকে সরকার বিপথে চালিত করেছে। সরকারের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল কে বেণুগোপাল বলেন, রাফাল বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করা উচিত। দেশের নিরাপত্তা, আমাদের প্রত্যেকের সুরুক্ষার বিষয় এটি। বিশ্বের এমন কোনও আদালত নেই প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে এমন কাটাছেঁড়া করা হয়। বেণুগোপাল বলেন, তাদের তরফে আরও কোনও নথি দেওয়ার নেই। সব নথিই আদালতের কাছে রয়েছে। রাফাল নিয়ে ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে। এর পর পুনর্বিবেচনা নিয়ে প্রশ্ন নেই বলে জানান বেণুগোপাল।