অনির্দিষ্টকাল ধরে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ চলতে পারে না, শাহিন বাগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ
শাহিন বাগ আন্দোলনে বড় ধাক্কা! দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলা আন্দোলন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, পাবলিক জায়গায় অনির্দিষ্টকাল ধরে কোনও আন্দোলন চলতে পারে না। যদি সবাই এভাবে আন্দোলন শুরু করে, তাহলে তার পরিণতি কী হবে? বিচারপতি সঞ্জয় কিশান কাউলের এই পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শাহিন বাগ আন্দোলনে বড় ধাক্কা! দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলা আন্দোলন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, পাবলিক জায়গায় অনির্দিষ্টকাল ধরে কোনও আন্দোলন চলতে পারে না। যদি সবাই এভাবে আন্দোলন শুরু করে, তাহলে তার পরিণতি কী হবে? বিচারপতি সঞ্জয় কিশান কাউলের এই পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এ দিন সুপ্রিম কোর্ট শাহিন বাগ নিয়ে দিল্লি সরকার এবং দিল্লি পুলিসকে নোটিস জারি করে। তবে, এই মুহূর্তে আন্দোলন হটিয়ে দেওয়ার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। শাহিন বাগ আন্দোলনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়। মামলাকারীদের আইনজীবীর দাবি, রাস্তাজুড়ে আন্দোলনে যে অসুবিধা হচ্ছে, তা থেকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিক আদালত। কিন্তু আদালত কোনও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে না গিয়ে দিল্লি সরকার এবং পুলিসকে নোটিস তলব করে।
আরও পড়ুন- প্রেমে প্রত্যাখ্যানেই ক্ষোভ, প্রকাশ্য রাস্তায় তরুণীকে পুড়িয়ে মারল যুবক
বিচারপতি কাউল জানান, অনেক দিন ধরে আন্দোলন চলছে। কিন্তু সেই আন্দোলন মানুষকে অসুবিধায় ফেলতে পারে না। তাঁর আরও মত, আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারেন। সুপ্রিম কোর্ট এর আগে জানিয়ে ছিল, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় শাহিনবাগের আন্দোলন এক মাসের বেশি ধরে চলছে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে এই আন্দোলন।
গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, রাস্তা বন্ধ করে এই আন্দোলন স্থানীয় মানুষের অসুবিধা তৈরি করছে। কখনও কখনও শাহিন বাগকে ‘দেশদ্রোহী’, ‘পাকিস্তানপন্থী’ বলে তকমাও দেওয়া হয়েছে। তবে, শাহিন বাগের বিক্ষোভকারীদের মত, তাঁরা কখনও সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন না। প্রয়োজনে অ্যাম্বুল্যান্স, বাস এমনকি শবযানও ছেড়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পথ তৈরি করে দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।