নিজস্ব প্রতিবেদন: হাথরস-কাণ্ডকে দুঃখজনক ও ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করল সুপ্রিম কোর্ট। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাথরস-কাণ্ডে ওই দলিতকন্যার পরিবারকে যেন যথোপযুক্ত সুরক্ষা দেওয়া হয়, সে কথা উত্তর প্রদেশ সরকারকে জানাতে গিয়েই এ কথা বলল সর্বোচ্চ আদালত। শুধু তাই নয়, এই কাণ্ডে যাঁরা সম্ভাব্য সাক্ষী, তাঁদেরও যেন সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়।


আজ, মঙ্গলবার হঠাৎ কেন যোগী সরকারকে সুপ্রিম কোর্ট এ কথা বলল? 


কেননা প্রায় সকলের অগোচরেই যোগী সরকার সুপ্রিম কোর্টকে হাথরস-কাণ্ডের সিবিআই তদন্তের অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল সোমবার! যোগী সরকারের যে এ ক্ষেত্রে কোনও 'ভেস্টেড ইন্টারেস্ট' নেই, যেমনটা কোনও কোনও বিরোধীপক্ষ ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা প্রমাণ করার জন্য তারা সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদন জানিয়েছে বলে তাদের দাবি।


যদিও এ বিষয়টি নিয়েও অন্য বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেননা শোনা যাচ্ছে, বিরোধীরা বলছে, এই ঘটনায় স্বভাবতই প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে যে, সিবিআইকে পিছন থেকে নিয়ন্ত্রণ করে সুপ্রিম কোর্টই। 
 
বিরোধীদের বক্তব্য যাই হোক, 'পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন' (পিআইএল)-এ যে আফিডাভিটটি দাখিল করা হয়েছে, শুনানির জন্য যেটি তালিকাভুক্তও হয়েছে, তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি এস ও ববদে। তিনি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে জানতেও চেয়েছেন, ওই দলিত পরিবার কোনও আইনজীবী নিয়োগ করতে পারছে কিনা। যদিও যোগী সরকারকে এখনও এ সংক্রান্ত অফিসিয়ালি কোনও নোটিস সুপ্রিম কোর্ট দেয়নি। তুষার মেহতা জানান, সংবাদমাধ্যম মারফত শোনা যাচ্ছে কোনও কোনও আইনজীবী ওই পরিবারের সঙ্গে তাদের হয়ে আইনি লড়াই লড়ার জন্য যোগাযোগ করেছেন। তুষার এ-ও জানান, এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে অযথা বিতর্কের জন্ম দেওয়া বন্ধ হোক। এ সংক্রান্ত তদন্ত যেন পক্ষপাতিত্বহীন ও স্বচ্ছ হয়। প্রাথমিক বক্তব্য়েই তিনি যোগী সরকারের ঋজু অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন।


দেশের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইন্দিরা জয়সিং অবশ্য হাথরস-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার তদন্তের প্রসঙ্গও তোলেন। 


এখন যা পরিস্থিতি তাতে আপাতত সকলেই চাইছে এই তদন্ত যেন মসৃণ ভাবে চলে। এক সপ্তাহ পরে আবার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।


আরও পড়ুন: ধর্ষণ মানে 'বেইজ্জতি' নয়, শরীরের জবরদখল আসলে ক্ষমতার-রাজনীতি!