নিজস্ব প্রতিবেদন: আপাতত স্বস্তিতে ভারাভারা রাও-সহ অন্যান্য সমাজকর্মীরা। ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধৃত ৫ সমাজকর্মীকে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ইউএপিএ-তে অভিযুক্ত এই বিশিষ্টজনদের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার মামলা দায়ের হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। সেই মামলায় আদালতের এ দিনের পর্যবেক্ষণ, “ভিন্ন মত গণতন্ত্রের সেফটি ভালভ। যদি ভিন্ন মতকে গ্রাহ্য না করা হয়, তাহলে প্রেসার কুকার বিস্ফোরণ হতে পারে।’”  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ইউএপিএ-তে অভিযুক্ত কবি-লেখক-সমাজকর্মীরা, কী এই ইউএপিএ?


সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপের আইনে অভিযুক্ত করেছে পুনে পুলিস, মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে তার জবাবদিহি চেয়েছে শীর্ষ আদালত। ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বেঞ্চ। ধৃত সমাজকর্মীদের জামিনের আবেদন করেন ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার-সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। জামিনের আবেদন করে রোমিলা দেবী বলেন, “এই গ্রেফতারি কী ভারতীয় নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে না? ভিন্ন মতকে দাবিয়ে রাখতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের।”


আরও পড়ুন- ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমাজকর্মীদের গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট


উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার হওয়া মোট ১০ জনের মধ্যে ওই পাঁচজন বিশিষ্ট জনকে ইউএপিএ-তে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মাও যোগ এবং ভীমা কোরেগাঁও ঘটনায় উস্কানিমূলক মন্তব্য করার জন্য গত জুনে গ্রেফতার করা হয় সুধীর ধবলে, সুরেন্দ্র গদলিং, মহেশ রাউত, রোনা উইলসন এবং সোমা সেনকে। উল্লেখ্য, ৮ জুন উইলসনের বাড়ি থেকে প্রধানমন্ত্রীকে হ্ত্যার ছক কষা একটি চিঠি উদ্ধার করে বলে দাবি করে পুলিস। পুলিসের জানিয়েছে, রাজীব গান্ধীকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক তেমনই ছক কষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও হত্যার কথা লেখা রয়েছে চিঠিতে।  যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে কবি ভারাভারা বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার ক্ষমতা মাওবাদীদের নেই।”