নিজস্ব প্রতিবেদন: বিতর্ক কিছু কম হয়নি। আইনের যে ধারাটি বাতিল করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত, সেই ধারায় বহু মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে এখনও! এই ঘটনাটি জানতে পেরে  স্তম্ভিত সুপ্রিম কোর্ট। কীভাবে এমনটা সম্ভব? তীব্র ভর্ত্‍সনা করা হল কেন্দ্রকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোন আইনের কোন ধারা? বেশ কয়েক বছর আগে ভারতের তথ্য় প্রযুক্তি আইনে ৬৬-এ নামে একটি ধারা যোগ করা হয়।  নয়া এই আইনে অনলাইনে  'আপত্তিকর' কনটেন্ট পোস্ট করলে অভিযুক্ত গ্রেফতার করা যেত। এই ধারাটিকে ঘিরে তখন তুমুল বিতর্ক হয়। মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। শেষপর্যন্ত এক ঐতিহাসিক রায়ে 'অস্পষ্ট', 'অসাংবিধানিক', 'বাক স্বাধীনতার বিরোধী' অ্যাখ্যা দিয়ে আইনটিকে বাতিল করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। অর্থাত্‍ খাতায়-কলমে এখন আর ওই আইনটির কোনও অস্তিত্ব নেই।


আরও পড়ুন: ২ বছরের শিশুর উপস্থিত বুদ্ধিতে বাঁচল তার মা, প্রশংসায় আরপিএফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া


আর বাস্তবে? বাতিল হয়ে যাওয়া আইনের উপর ভিত্তি করে হাজারেরও বেশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে! এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আর নারিম্যান, কেএম জোসেফ এবং বিআর গভইের বেঞ্চ ক্ষোভপ্রকাশ করে বলে, 'আমরা একটা নোটিস জারি করছি। যেটা চলছে, সেটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না'। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে ওই নোটিশ জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।


আরও পড়ুন: ডেল্টা আক্রান্ত ভারত-ব্রিটেনকে স্বস্তি! নাগরিকদের ভ্রমণ ছাড় জার্মানির


এই বিষয়টি জানা গেল কী করে? ভারতের তথ্য় প্রযুক্তি আইনে ৬৬-এ ধারায় যাতে অভিযোগ দায়ের না করা হয়, সেই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মামলা করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, আইনটি বাতিল হওয়ার সময়ে মামলা ছিল ২২৯টি। সেই সংখ্যাটি এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩০৭। ফলে অকারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।