ED`s Power Of Arrest: আর্থিক তছরুপে ইডির গ্রেফতারের অধিকার বহাল, অস্বস্তি বাড়ল বিরোধীদের
ইডির একাধিক অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করে ২৮০টি আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে
জ্যোতির্ময় কর্মকার: সুপ্রিম কোর্ট বহাল ইডির ক্ষমতা। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট(PMLA) অনুযায়ী আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে কারও সম্পত্তি অ্যাটাচ, তাকে গ্রেফতার, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে ইডি। সেই ক্ষমতাকে চ্য়ালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। ইডির সেইসব ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। এর ফলে আর্থিক দুর্নীতি আইনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে তাদের অস্বস্তি আরও বেড়ে গেল। প্রসঙ্গত, আর্থিক দুর্নীতির মামলা চলছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, পি চিদম্বরম, ফারুক আবদুল্লা, সোনিয়া গান্ধী, কার্তি চিদম্বরম ও মেহবুবা মুফতির মতো নেতার বিরুদ্ধে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এ এম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সি টি রবিকুমারের বেঞ্চ আজ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় PMLA-এ ইডির যে ক্ষমতা ছিল তা বহাল রইল। অর্থাত্ প্রয়োজনে যে কোনও জায়গায় তল্লাশি চালাতে, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত বা অ্য়াটাচ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কাউকে গ্রেফতারও করতে পারবে। আজ শুনানিতে জামিনের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কারণ ইডি মামলার ক্ষেত্রে জামিন পাওয়া খুবই শক্ত হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এই আইন বেশ জটিল। এই আইনে কেউ আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত ধরে নিয়েই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়ে থাকে।
আজকের শুনানিতে ইডির গ্রেফতার করার অধিকার বজায় রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিরোধীদের অভিযোগ ছিল মানি লন্ডারিং আইন ব্যবহার করে বিরোধী দলের একাধিক নেতাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। ফলে এই আইনের গ্রেফতার-সহ একাধিক অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করে ২৮০টি আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু শুনানিতে তা গ্রাহ্য হয়নি। সুপ্রিম কোর্টে সরকারের সওয়াল ছিল আর্থিক দুর্নীতি অত্যন্ত গুরুতর একটি অভিযোগ। তাই এনিয়ে কড়া আইন থাকা উচিত।
সুপ্রিম কোর্টের ওই রায় নিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান করি। ইডি সম্পূর্ণ একটি স্বাধীন সংস্থা। তাদের পুলিস বলা যায় না। তাই তাদের বেশকিছু সুযোগ সুবিধে রয়েছে। পাশাপাশি বেশকিছু সমস্যাও রয়েছে। গ্রেফতার নিয়ে একটা সন্দেহ ছিল। সেটা কেটে গেল।
অন্যদিকে, রায় নিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, এই রায়ে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। চারদিকে যে হারে আর্থিক দুর্নীতি হচ্ছে তাতে তদন্তের হাতও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টে সেই কথাই বলছেন। এইসব তদন্ত সংস্থা কাজ না করতে পারলে কোনও লাভ হবে না। স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারলে দোষীরা শাস্তি পাবে।
আরও পড়ুন- একমাসেই ৩,৪১৯ কোটির বিদ্যুতের বিল! দেখেই সোজা হাসপাতালে প্রৌঢ়