নিজস্ব প্রতিবেদন: আধার নিয়ে সুপ্রিম রায়কে স্বাগত জানাল কংগ্রেস। বুধবার আধারকে সাংবিধানিক বৈধতা দিলেও বেশ কিছু বিধি বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশকে ‘বিজেপির গালে চড়’ বলেই ব্যাখ্যা করলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা বিশিষ্ট আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কয়েক মিনিটের মধ্যে কংগ্রেস টুইট করে জানায়, আধার আইনের ৫৭ ধারাকে খারিজ করে দেওয়ায়, আধার তথ্য চাইবার ক্ষমতা হারাল বেসরকারি সংস্থাগুলি। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন, আধার আইনের ৫৭ ধারাকে খারিজ করার সিদ্ধান্ত আদতে বিজেপির গালে 'সপাটে চড়'। তাঁর মতে, 'শিশুর স্নানের জল নোংরা করছিল বিজেপি এবং মোদী'। তাদের উত্খাত করে শিশুকে রক্ষা করল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, একটি ইংরেজি প্রবাদ স্মরণ করিয়ে এদিন বিচারপতি সিকরি জানান, আধার নিয়ে উদ্বেগের কারণ রয়েছে। তবে শিশু সমেত গামলা ভর্তি জল ছুড়ে ফেলে দেওয়া যায় না। আধারের সাংবিধানিক বৈধতা যেমন থাকবে, তেমনই আইন সংশোধন করে আধারকে আরও নিশ্ছিদ্র ও নীর্ভরযোগ্য করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।


আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে তাত্ক্ষণিক তিন তালাক অর্ডিন্যান্স


কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, আধার আইনের ৫৭ ধারা খারিজ করায় নাগরিকের উপর নজরদারির অবসান হল। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আধারের বিরোধিতা করে এসেছেন। আমাদের অবস্থানই ঠিক ছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আমরা খুশি।”


আরও পড়ুন- আধার সাংবিধানকভাবে বৈধ, বেসরকারি ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয়: সুপ্রিম কোর্ট


উল্লেখ্য, আজ আধারকে সাংবিধানিক বৈধতা দেয় প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র-সহ পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। তবে, আধারের প্রয়োগের ক্ষেত্রে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করে শীর্ষ আদালত। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, মোবাইল সংযুক্তিকরণ, স্কুল কলেজে ভর্তি-র মতো একাধিক বিষয়ে আধার বাধ্যতামূলক নয় বলে জানানো হয় এদিন। এমনকি নাগরিকের থেকে আধার তথ্য চাওয়ার অধিকার নেই কোনও বেসরকারি সংস্থার, এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শরণার্থীরা যাতে কোনও মতেই আধার না পায়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, কেবল প্যান এবং আয়কর প্রদানের ক্ষেত্রে আধার তথ্য দিতে হবে। তবে, সুপ্রিম কোর্ট জানায় আধারকে যুগপোযুগী করে তুলতে এবং নাগরিকের তথ্য সংরক্ষণে কঠোর নিরাপত্তা দিতে দ্রুত আধার আইন সংশোধন করা উচিত।