নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সবচেয়ে ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। স্পষ্ট জানিয়েদিল ভারত সরকার। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়েদিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২: প্রতিরোধে এসে ভারতের শক্তি দেখে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি F-16


তাঁর কথায়, বালাকোটের ওই এলাকায় জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটি ছিল। সেই জঙ্গিঘাঁটি নিয়ন্ত্রণ করত জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের শ্যালক মৌলানা ইউসুফ আজহার ওরফে উস্তাদ ঘৌরি।


তিনি জানান, ওই জঙ্গিঘাঁটি পাহাড়ের উপর জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত। নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হামলা চালানো হয়। ওই ক্যাম্পকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। নিহত হয়েছে অধিকাংশ জঙ্গি।


আরও পড়ুন: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২: পাল্টা পাক-প্রত্যাঘাতের জবাব দিতে সীমান্ত রেখায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ বায়ুসেনাকে


তবে এই হামলায় মাসুদ আজহারের শ্যালকের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা তিনি জানাননি। কয়েকঘণ্টা আগেই হামলা হওয়ায় এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আসতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে বিজয় গোখলে জানিয়েছেন।


তিনি জানান, পাকিস্তান ২০০৪ সালে জানিয়েছিল তাদের দেশে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি তৈরি করতে দেবে না। তার পর বছরের পর বছর কেটে গিয়েছে কিন্তু কোনও ফল হয়নি। পাকিস্তানকে বহুবার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান ভারতের কথার কোনও গুরুত্ব দেয়নি।



বরং জইশের মতো একটি বড় জঙ্গি সংগঠনকে বেড়ে উঠতে মদত দিয়েছেন। এভাবে কয়েকশো জঙ্গি কখনও পাকিস্তানের সমর্থন ছাড়া এভাবে বেড়ে উঠতে পারে না বলে বিজয় গোখলের দাবি।


আরও পড়ুন: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২ : নিখুঁত ছকে এক স্ট্রাইকেই নিকেশ ৩০০ জঙ্গি!


তবে এই অভিযান চালানোর আগে এটাও নিশ্চিত করা হয়, যে কোনও সাধারণ নাগরিক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আর ভারতীয় বায়ুসেনা সেই লক্ষ্যে সফল।