নিজস্ব প্রতিবেদন- বিহার নির্বাচন আসন্ন। আর তার আগে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনই অভিযোগ করছেন অনেকে। সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর গ্রেফতার ও বলিউডে মাদক যোগের একের পর এক অভিযোগ দেশের রাজনীতি আলোড়ন তুলেছে। এরই মধ্যে বিহারে লালু প্রসাদ যাদবের দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল-এর বিধায়ক অরুণ যাদবের এর এক মন্তব্য ঝড় তুলেছে। তিনি আচমকাই মন্তব্য করে বসেছেন, সুশান্ত সিং রাজপুত কখনোই রাজপুত ছিলেন না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরজেডি-র বিধায়ক অরুণ যাদব বলেছেন, ''সুশান্ত সিং রাজপুত ছিলেন না। আমার কথায় আপনাদের খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি। সুশান্ত সিং রাজপুত যদি সত্যিই মহারাণা প্রতাপ সিং-এর বংশধর হতেন তাহলে এমন কাজ করতেন না। রাজপুতরা কখনোই গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে না। বরং রাজপুত্র লড়াই করতে জানে। সুশান্ত সত্যকারের আসলে লড়াই করতেন জীবন থেকে পালিয়ে যেতেন না। রাজপুত নিজে মরার আগে শত্রুকে মারে। কিন্তু সুশান্ত এটা কী করলেন! আমি জানি ওর মৃত্যুতে দেশের প্রতিটি মানুষ খুবই দুঃখ পেয়েছেন। কিন্তু এটাও মেনে নিতে হবে সুশান্ত সিং রাজপুত ছিলেন না।''


আরও পড়ুন-  দেবীর কাছে করোনা মুক্তির প্রার্থনা, 'মিশন বঙ্গ'-এ 'শুভ মহালয়া' মোদী-শাহের


লালু যাদবের দলের বিধায়কের এমন মন্তব্যের পর বিহারের রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। বিরোধীপক্ষের একের পর এক নেতা অরুণ যাদবকে ক্ষমা চাইতে বলছেন। তাঁদের পাল্টা বক্তব্য, সুশান্তের মৃত্যুতে গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। সেখানে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে অরুণ যাদব কী করে সুশান্তকে নিয়ে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করতে পারেন!  জনতা দল ইউনাইটেড-এর নেতা রাজীব রঞ্জন প্রসাদ বলেছেন, ''অরুণ যাদবের এমন মন্তব্য লজ্জাজনক। কী করে একজন রাজনৈতিক দলের নেতা এই পরিস্থিতিতে এমন মন্তব্য করতে পারেন তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। ওনার অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত।''