ওয়েব ডেস্ক: 'স্বাধীনতা দিবসের পূণ্যলগ্নে' পাক নাগরিকদের জমে থাকা সবকটি মেডিক্যাল ভিসার আবেদন মঞ্জুর করে দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। কয়েকদিন আগে পাক নাগরিক ফিজা তানভিরের মেডিক্যাল ভিসা সংক্রান্ত সকল আইনি জটিলতা মিটিয়ে ফেলার জন্যও সুষমা স্বয়ং কথা বলেছিলেন পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে। মুখের ভিতর বাড়তে থাকা টিউমারের চিকিত্সার জন্য গাজিয়াবাদের ইন্দ্রপ্রস্থ ডেন্টাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ১০ লক্ষ টাকা অগ্রিম জমা দিয়ে দিয়েছিলেন ফিজা, এমনটাই জানা গিয়েছে পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। পরবর্তী কালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিজা তানভিরের মা জানান যে, ভারত-পাক সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হওয়ার ফলেই তাঁর মেয়ের মেজিক্যাল ভিসা মঞ্জুর করা হচ্ছে না। এরপরেই হস্তক্ষেপ করেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বারাজ।



বস্তুত বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে সরকারি নিয়মের উর্দ্ধে উঠে মানবিকতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নজির গড়েছেন সুষমা স্বরাজ। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁর বাড়িয়ে দেওয়া সাহায্যের হাত ধরে জটিলতা কাটিয়ে উঠেছেন অনেকেই। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বারংবার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের এই আবহে যখন দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে তখন পাক নাগরিকদের ক্ষেত্রে সুষমার এমন পদক্ষেপকে 'কল্যাণমূলক কূটনৈতিক বার্তা' হিসাবে দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। এর পাশাপাশি, অনেকেই মনে করছেন 'মেডিক্যাল ট্যুরিজম' ক্ষেত্রও অনেক বেশি প্রসারিত হচ্ছে বিদেশমন্ত্রীর এমন 'উদার ও মানবিক' পদক্ষেপে। CII-Grant Thornton-এর রিপোর্ট অনুসারে, মেডিক্যাল ট্যুরিজমে ভারতের বর্তমান ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার, ২০২০ সাল নাগাদ ৮ বিলিয়নে পৌঁছতে পারে।