নিজস্ব প্রতিবেদন: পৃথক খলিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল ব্রিটেন। লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারে ১২ অগাস্ট খলিস্তানপন্থীদের সমাবেশকে নিষিদ্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছিল ভারত সরকারের। কর্ণপাত করেনি টেরেসা মে-র সরকার। তবে, পাল্টা চাল দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। রবিবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসের তরফে অনুষ্ঠিত প্রবাসী ভারতীয় দিবসে সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন, গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালন করবে বিদেশের সব ভারতীয় দূতাবাস। খলিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে সুষমার এই বার্তা মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছে ওয়াকিফহাল মহল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে অশ্রুসজল সুমিত্রা মহাজন


বিদেশমন্ত্রী এদিন বলেন, “গুরু নানকের বাণী আমাদের প্রতি মুহূর্তের প্রেরণা। হিন্দু শাস্ত্রের মতো তাঁর বাণীও সত্যের পথে চলার দিশা দেখায়। শিখদের গ্রন্থ সাহেব এমনই একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ যা ভারতকে বিশ্বের দরবারে আরও গ্রহণযোগ্য করে।” ‘২০২০ গণভোট’-কে লক্ষ্য রেখে বিপুল জনসমাবেশ তৈরি করেছে ‘শিখ ফর জাস্টিস’ সংগঠনের খলিস্তানপন্থীরা। কানাডা থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে শিখদের।



এ দিকে এই সমাবেশকে নিষিদ্ধ করার জন্য ব্রিটিশ সরকারকে ভারত একাধিক বার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও কর্ণপাত করেনি। উল্টে জানিয়ে দেওয়া হয়, যে কোনও নাগরিকে বাক স্বাধীনতা রয়েছে। দেশের আইন অমান্য না করে  কোনও সমাবেশ করলে, সেখানে কঠোর পদক্ষেপ করতে পারে না সরকার। জানা গিয়েছে এই সমাবেশে অনুমতি দিয়েছে লন্ডন মেয়রের দফতরও।


আরও পড়ুন- ভারতের নোটও ‘মেড ইন চায়না’! চাঞ্চল্যকর তথ্য চিনা সংবাদমাধ্যমের


উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বিজয়কুমার সিং জানান, টেরেসা মে সরকারকে এই সমাবেশকে নিষিদ্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছিল ভারতীয় দূতাবাস। তবে, খলিস্তানপন্থীদের মদত দেওয়ায় ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চিড় খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো এলে, খলিস্তান আন্দোলনে সে দেশের প্রত্যক্ষ মদতকে ভাল চোখে দেখছে না, তা স্পষ্ট বার্তা দেওয়া দিল্লির তরফে। সে কথা নরেন্দ্র মোদীও আবভাবে বুঝিয়ে দেন। তবে, দেশে ফিরতেই ভারতের এই দৃষ্টিভঙ্গিকে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন জাস্টিন ট্রুডো।


আরও পড়ুন- মুখ্যসচিব নিগ্রহের ঘটনায় কেজরিওয়াল সহ ১১ আপ বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট


উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে লন্ডনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রত্যক্ষ পরিচালনায় রয়েছে ব্রিটেনে ‘আশ্রিত’ পরমজিত্ সিং পম্মা। ২০১০ সালে পঞ্জাবের পাতিয়ালা এবং অম্বালায় জোড়া বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত পরমজিত্।