নিজস্ব প্রতিবেদন : "সীমাহীন অভব্যতা"। ইসলামাবাদে কূলভূষণ যাদবের মা ও স্ত্রীর হেনস্থার ঘটনায় এই ভাষাতেই সংসদে মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। গোটা ঘটনায় পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর চাঁছাছোলা অভিযোগ, কথার খেলাপ করেছে পাকিস্তান। কুলভূষণ যাদবের মা ও স্ত্রীকে ন্যূনতম মানবিক মর্যাটুকুও দেয়নি পাকিস্তান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একইসঙ্গে সুষমা স্বরাজ অভিযোগ করেন, মা ও স্ত্রীর সঙ্গে মারাঠিতে কথা বলতে দেওয়া হয়নি কুলভূষণকে। এমনকি কথা বলার সময়ও বার বার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি, কুলভূষণের স্ত্রীর জুতোতে পাকিস্তানের তোলা 'ধাতব চিপ' থাকার অভিযোগ সাফ খারিজ করে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইসলামাবাদে গিয়ে কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করার পথে দুবার বিমান বদল করতে হয়েছে তাঁর মা ও স্ত্রীকে। প্রথমে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়েন তাঁরা, তারপর এমিরেটাসের বিমানে। অর্থাত্, দুবার বিমানে চড়ার জন্য মোট দু'বার চেকিং হয়েছে তাঁদের। তাই কুলভূষণের স্ত্রী চেতনকুলের জুতোতে 'কিছু' থাকার অভিযোগের পিছনে কোনও যুক্তিই নেই। যদি কিছু থেকে থাকত, তাহলে তা বিমানবন্দরেই ধরা পড়ে যেত।


কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করার সময় পাকিস্তান 'জাতীয় সুরক্ষা'র কারণ দেখিয়ে তাঁর মা ও স্ত্রীর গলা থেকে মঙ্গলসূত্র ও কপাল থাকা টিপ খুলে নেয়। যা কখনও মেনে নেওয়া যায় না বলে সংসদে মন্তব্য করেন সুষমা স্বরাজ। বিদেশমন্ত্রী জানান, মা অবন্তীকে ওই 'বেশে' দেখে কুলভূষণ ভেবেছিলেন তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে। মায়ের কাছে সবার প্রথমে বাবারই খোঁজ করেছিলেন কুলভূষণ। এমনকি, সেদিন ছেলের সঙ্গে দেখা করার আগে কুলভূষণের মাকে শাড়ি বদলে সালোয়ার-কামিজ পরতে বাধ্য করা হয়। সেই ইস্যুতেও আজ তোপ দাগেন সুষমা। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের কাছে বার বার আর্জি জানানো হয়েছিল যে সেদেশের সংবাদমাধ্যমকে যেন কুলভূষণের পরিবার থেকে দূরে রাখা হয়। কিন্তু পাকিস্তান ভারতের সেই কথা রাখেনি।


আরও পড়ুন, কুলভূষণকে দেশে ফেরানোর দাবি তুলল কংগ্রেস


২২ মাস বাদে ২৫ ডিসেম্বর ইসলামাবাদে কুলভূষণের সঙ্গে সাক্ষাত হয় তাঁর পরিবারের। তবে পরিবারের কাছে আসতে দেওয়া হয়নি কূলভূষণকে। দু'তরফের মাঝে ছিল কাঁচের দেওয়াল। সেভাবেই ৩০ মিনিটের জন্য ইন্টারকমের মাধ্যমে কথা বলতে দেওয়া হয় কুলভূষণকে। পাকিস্তান কুলভূষণের সঙ্গে তার পরিবারকে  সাক্ষাত করতে দেওয়ার পদক্ষেপকে 'মানবিক ব্যবহার' বলেই দাবি করেছে। কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে ভারতের পাল্টা অভিযোগ, পাকিস্তানের দাবি পুরোটাই ফাঁপা। পাক মাটিতে বার বার হেনস্থার মুখেই পড়তে হয়েছে কুলভূষণের মা ও স্ত্রীকে। যা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না এবং চূড়ান্ত অমানবিক।