নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৭ সালে বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা বেড়েছে ২ শতাংশ। সে দেশের সরকারি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সংসদে জানালেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। পড়শি দেশগুলিতে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সুষমার কথায়, ''পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানে সংখ্যালঘুদের জোর করে ধর্মান্তরণ, অপহরণ, খুন ও হামলার মতো ঘটনা ঘটছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে তাঁদের প্রার্থনাস্থান ও ব্যবসায়িকস্থানেও। এই ধরনের ঘটনাগুলির প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে দ্বিপাক্ষিকস্তরে নিয়মিতভাবে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ভারত সরকার।''         


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলাদেশ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে পড়শি দেশে হিন্দুদের জনসংখ্যা ছিল ৮.৪ শতাংশ। ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১০.৭ শতাংশ। সুষমা আরও বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা কমছে বা সে দেশ থেকে সংখ্যালঘুরা চলে আসছেন, এমন একটা প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে যে নির্যাতন চলছে তাও স্বীকার করে নিয়েছেন সুষমা স্বরাজ। তাঁর কথায়, ''এটা সত্যি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সবক্ষেত্রেই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ সরকার।'' সুষমা আরও বলেন, ''বাংলাদেশ সরকার গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থাও নিচ্ছে তারা। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বাস দিয়েছে আফগানিস্তানও।''


বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রংপুরে হামলার প্রসঙ্গ তুলে সুষমা স্বরাজ বলেন, ''ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় ৬৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রংপুরে একইভাবে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'' রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের সুষমার জবাব, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশে সংখ্যালঘুদের দুর্দশা নিয়ে একাধিকবার তত্পর হয়েছে সরকার। গ্রহণযোগ্য সমাধানের পথ যাতে বেরিয়ে আসে সেজন্য দ্বিপাক্ষিকভাবে বিষয়টি তোলা হয়েছে। পাকিস্তান-সহ অন্যান্য দেশে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশের সওয়ালে সুষমা বলেন, ''প্রাথমিকভাবে ২ বছরের ভিসা দিই আমি। তারপর ৫ বছরের। নাগরিকত্ব আইনে ৭ বছর ভারতে থাকার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভারতের নাগরিক হতে পারেন। এনিয়ে সমস্যার সমাধানে সকল সদস্যকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করানোর আবেদন করছি।''


আরও পড়ুন- চলন্ত ট্রেনে খাবারের মান পরীক্ষায় সুপারভাইজার