নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু'দেশের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে সম্মতি দিল নয়াদিল্লি। আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকের ফাঁকে আলোচনায় বসবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন দু'দেশের মধ্যে সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তারপরই নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, নিউইয়র্কে একটি বৈঠক রয়েছে, তবে ফের দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হচ্ছে না। 


গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন ইমরান খান। ওই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, 'ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদের অবসান চাইছেন দু'দেশের নাগরিকরা। এর মধ্যে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের মতো সমস্যার সমাধানে, মতপার্থক্যের অবসানে সেতুবন্ধন সমঝোতা করা দরকার'। বাজপেয়ীর প্রসঙ্গ তুলে ইমরান লিখেছেন, 'দু'দেশের দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী'। এরপরই ইমরানের আবেদন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকের ফাঁকে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীরা বৈঠক করলে আনুষ্ঠানিক আলোচনাপ্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা বন্ধ রয়েছে। তবে নয়াদিল্লি স্পষ্ট করেছে, আলোচনাপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। করতারপুর করিডর খোলা নিয়ে কি আলোচনা হতে পারে? রবীশ কুমারের কথায়, এব্যাপারে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ হয়নি। এনিয়ে উত্সাহ দেখায়নি তারা। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করবেন সুষমা স্বরাজ। 


বুধবার ভারতীয় জওয়ান নরেন্দ্র কুমারকে হত্যা করেছে পাক সেনা। এই প্রেক্ষাপটে দুদেশের বৈঠক বেশ তাত্পর্যপূর্ণ হতে চলেছে। নয়াদিল্লি সূত্রের খবর, সেনা সাহায্যে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন ইমরান খান। তাঁর পক্ষে বেশিদূর এগানো সম্ভব নয়। আদতে তিনি সেনার হাতের পুতুল। এটাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে প্রাক্তন সেনা প্রধান ও বিদেশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংয়ের কথায়। ভিকে সিং বলেন, 'ইমরানকে নিয়ন্ত্রণ করছে সেনাবাহিনী। পাক সেনার ঠেলায় হঠাত করে উদয় হয়েছেন ইমরান। ফলে পাকিস্তানের নীতির কোনও বদল হবে না'। 


আরও পড়ুন- মুসলিমদের নিয়ে গোলওয়ালকরের বিতর্কিত বক্তব্য বাদ দিল আরএসএস