বৌদি সেজে হাথরস নির্যাতিতার বাড়িতে ছিলেন `ছদ্মবেশী` মহিলা! বড় ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস
সিসিটিভি আসার পর থেকেই নির্যাতিতার বাড়ি থেকে একের পর আত্মীয়-পরিজন ফিরে যেতে শুরু করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- হাথরস কাণ্ডের তদন্ত ভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। শনিবার এক বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রের তরফে তদন্ত ভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানানো হয়। উত্তরপ্রদেশের ১৯ বছর বয়সী যুবতী খুনের ঘটনা রোজই যেন নতুন মোড় নিচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী নির্যাতিতার শরীরে ধর্ষণের কোনও চিহ্ন ছিল না। উত্তরপ্রদেশের পুলিস তাই জানিয়ে দিয়েছিল, বুলগড়ী গ্রামের মেয়ের গণধর্ষণ হয়নি। তবে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন বার বার বলেছে, এই ঘটনাকে ভুল প্রেক্ষিতে দেখিয়ে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছে কিছু ষড়যন্ত্রকারী। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের পুলিস, প্রশাসন। এবার দেখা যাচ্ছে, যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের সেই দাবি কিছুটা সঠিক।
নির্যাতিতার বাড়ির চারপাশে সিসিটিভি লাগানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিস। এমনকী সিভিল ড্রেসে পুলিস পাহারায় রয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনকে প্রায় নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। আর সিসিটিভি আসার পর থেকেই নির্যাতিতার বাড়ি থেকে একের পর আত্মীয়-পরিজন ফিরে যেতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, এতদিন পর্যন্ত নির্যাতিতার বৌদি হিসেবে পরিচয় দেওয়া সেই মহিলা আসলে নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নেত্রী। এতদিন পর্যন্ত ওই মহিলা নির্যাতিতার বৌদি সেজে বয়ান দিতেন। এমনকী সংবাদমাধ্যমের সামনে একাধিকবার বয়ান দিয়েছেন তিনি। পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এসআইটি-র সামনেও ছিলেন সেই মহিলা। এমনকী পুলিশের সামনেও দিনের আলোয় ঘুরে বেড়িয়েছেন নির্যাতিতার বৌদি বলে পরিচয় দেওয়া সেই ছদ্দবেশী মহিলা।
আরও পড়ুন- হাথরসকাণ্ডের তদন্তভার নিল সিবিআই, নজরে ষড়যন্ত্র ও হাঙ্গামা বাধানোর অভিযোগও
এসআইটি-র সদস্যদের সবার প্রথমে সন্দেহ হয়। তার পরই পুলিস ওই ছদ্দবেশী মহিলার পরিচয় খুঁজতে নেমে পড়ে। জানা যায়, জবলপুরে একটি মেডিকেল কলেজের অধ্যাপিকা তিনি। নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর নাম রাজকুমারী বানসাল। জামালপুরে থাকেন তিনি। সুভাষচন্দ্র বোস মেডিকেল কলেজের অধ্যাপিকা তিনি। পরিচয় জানাজানি হওয়ার পর ওই মহিলা দাবি করেছেন, তিনি মানবিকতার খাতিরে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের কাছে চলে আসেন। এই ঘটনার কথা শোনার পরই তিনি হাথরসের বুলগড়ী গ্রামে আসেন। এদিকে নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ওই মহিলা তাঁদের দুঃসম্পর্কের আত্মীয়া। পরিবারের এমন বিপদের দিনে আর পাঁচজন আত্মীয়ের মতো তিনিও এখানে এসে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।