ওয়েব ডেস্ক: ভোটের মুখে কড়া পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নাসিম জাইদি রাজ্য থেকে ঘুরে যাওয়ার ২দিনের মাথায় ৪ জেলার এসপি ও এক জেলাশাসককে অপসারণ করল কমিশন। মূলত পক্ষপাতের অভিযোগ উঠছে এদের বিরুদ্ধে। সরানো হচ্ছে ২৪ জন আইসি এবং ওসিকে। নিষিদ্ধ হচ্ছে বাইক মিছিল। কমিশনের কড়া পদক্ষেপ। ভোটের আগে প্রশাসনে রদবদল করল কমিশন। কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্য থেকে ঘুরে যাওয়ার পরেই অপসারণ করা হল বেশ কিছু অফিসারকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু কেন এই অপসারণ?


এই অফিসারদের বিরুদ্ধে, শাসক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতা, বাহিনীকে ঠিক ভাবে ব্যবহার না করার, মতো সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ পৌছেছে কমিশনের কাছে।


কারা অপসারিত হলেন?


অপসারিত মালদার এসপি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে আগেই ২বার সতর্ক করা হয় তাঁকে। সীমান্তে বিশেষ নজরদারি চালাতে বলা হয়। মঙ্গলবারও কমিশনের ফুল বেঞ্চের তিরস্কারের মুখে পড়েন তিনি।


দক্ষিণ দিনাজপুরের এসপি অর্ণব ঘোষকেও সরানো হয়েছে। শাসকদলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আগেও ভোটের সময় সরানো হয়েছিল তাঁকে।


অপসারিত নদিয়ার পুলিস সুপার ভাস্কর মুখার্জি। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। মানস ভুঁইয়া সহ একাধিক বিরোধী নেতা অভিযোগ জানিয়েছেন।


বর্ধমানের এসপি কুণাল আগরওয়ালকে সরিয়ে দিল কমিশন। তাঁর বিরুদ্ধে শাসকদলের প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ আছে। পাণ্ডবেশ্বরে শাসক দলের বাইক মিছিল বন্ধ করতে পারেননি।


হুগলির জেলাশাসক সঞ্জয় বনশলকেও সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। আগেও ভোটের সময় অপসারিত হয়েছিলেন।


এছাড়াও কমিশনের কোপে পড়েছেন, মালদহ সদরের এসডিও নন্দিনী সরস্বতী। সরানো হয়েছে, কান্দির এসডিপিও ইন্দ্রজিত্ সরকারকে। বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায়কেও অপসারিত করেছে কমিশন। সরানো হয়েছে রাজ্যের ২৪জন আইসি এবং ওসিকে।


নতুন দায়িত্বে কারা?


মালদহের নতুন এসপি হচ্ছেন ওয়াকার রাজা। নদিয়ার নতুন এসপি হচ্ছেন সীসরাম ঝাঝোরিয়া। দক্ষিণ দিনাজপুরের নতুন এসপি হচ্ছেন রসিদ মুনির খান। বর্ধমানের নতুন এসপি হচ্ছেন গৌরব শর্মা। হুগলির নতুন জেলাশাসক হচ্ছেন মুক্তা আরিয়া।


পাশাপাশি ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আরও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। ভোট প্রচারে বাইক মিছিল নিষিদ্ধ করা হল। ভোট প্রচারে কোনওভাবেই বাইক ব্যবহার করা যাবেনা। এতদিন মিছিলের শুরুতে ৩টি করে বাইক ব্যবহার করা যেত। এবার থেকে কোনও ভোটেই বাইক ব্যবহার করা যাবে না। বাইক মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলের তরফে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনের কাছে। এবার তাই ভোটের আগে বাইক মিছিল বন্ধই করে দিল কমিশন।