``২৬/১১ মুম্বই হামলার জন্য আমার পদক পাওয়া উচিত``, আদালতে বলল তাহাউর রানা
মুম্বইয়ের নৃংশস ও কাপুরুষোচিত হামলার অন্যতম পাণ্ডা ডেভিড হেডলি কোলম্যান ছিল রানার বন্ধু।
নিজস্ব প্রতিবেদন- মুম্বইয়ে এমন নৃশংস হামলার জন্য আমার পদক পাওয়া উচিত। আমেরিকার আদালতে দাঁড়িয়ে বুক ফুলিয়ে বলল তাহাউর রানা। এমনকী তাঁর দাবি, ভারতের সঙ্গে ঠিক যা হওয়া উচিত্, তাই হয়েছে। মুম্বইয়ের নৃশংস হামলার জন্য তাঁর এতটুকু অনুশোচনা নেই। বরং সেই হামলাকে সে সাহসিকতার নজির বলে মনে করছে। সাম্প্রতিককালে কোনও জঙ্গির মুখে এমন স্বীকারোক্তি শোনা যায়নি। মুম্বই হামলার ছক কষা জঙ্গি নেতাদের মধ্যে অন্যতম তাহাউর রানা। সে আবার এমনও দাবি করেছে, মুম্বই হামলায় সঙ্গে যুক্ত জঙ্গিদের সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া উচিত পাকিস্তান সরকারের। তাঁর মুখে একের পর এক বিস্ফোরক বক্তব্য শুনে বিচারকও অবাক।
তাহাউর রানাকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আমেরিকার কাছে আবেদন করেছিল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। জানা যাচ্ছে, ২০২১-এর শুরুর দিকেই তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দিতে পারে আমেরিকা। আপাতত শিকাগোর জেলে রয়েছে রানা। ১৫ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে জামিনের আবেদন করেছিল সে। কিন্তু কোনওমতেই তার জামিন মঞ্জুর করা হবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন আদালত। মার্কিন প্রশাসন আশঙ্কা করছে, একবার জামিন পেলেই গা ঢাকা দিতে পারে রানা। তখন তাঁকে ফের খুঁজে বের করতে বেগ পেতে হবে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে রানাকে ভারতে প্রত্যাবর্তনের মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন- আন্দোলনের জের! কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় রাজি কৃষি মন্ত্রক, আজ দুপুরে বৈঠক
মুম্বইয়ের নৃংশস ও কাপুরুষোচিত হামলার অন্যতম পাণ্ডা ডেভিড হেডলি কোলম্যান ছিল রানার বন্ধু। পাক বংশোদ্ভুত রানা কানাডার ব্যবসায়ী। চলতি বছরই জুন মাসে রানাকে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে আমেরিকার পুলিস। এর পরই জেরার মুখে সে মুম্বই হামলার সঙ্গেও যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে নেয়। লস্করের সঙ্গে তার সরাসরি যোগাযোগ ছিল। নিজের অফিস খুলে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত রানা। বিভিন্ন উপায়ে সহায়তা করত লস্করকে। ২০১৩ সালে তার ১৪ বছরের সাজা হয়েছিল। ২০২১ সালে তার সাজার মেয়াদ শেষ হবে। তার আগে প্রত্যাবর্তনের কাজ সারতে চাইছে ভারত সরকার।