সংবাদ সংস্থা: দীর্ঘ লড়াইয়ের পর কারামুক্তি। হৃদয় বিদারিত স্মৃতি ফেলে ফের মূল স্রোতে ফিরতে চলেছে তলওয়ার দম্পতি। আর 'নতুন জীবন' শুরুর আগে ফেলা আসা রুদ্ধদ্বার গারদে জীবনের সবটুকুই বিসর্জন দিয়ে আসলেন আরুষির মা নূপুর তলওয়ার এবং বাবা রাজেশ তলওয়ার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কারাবাসে থাকাকালীন ডাক্তারি করে উপার্জন করা সাড়ে ৪৯ হাজার টাকা ফেরালেন আরুষির মা-বাবা। নিলেন না একটা পয়সাও। কারা আধিকারিক দধিরাম মৌর্য বলেন, "২০১৩ সাল থেকেই জেল আবাসিকদের চিকিৎসা করত তলওয়ার দম্পতি। অপরাধী কিংবা অভিযুক্ত, রোগী দেখার সময় কোনও প্রতিবন্ধকতাই তলওয়ার দম্পতির কাছে বাধা হয়নি। এমনকি জেল অধিকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ১৫ দিন অন্তর একটি করে মেডিক্যাল ক্যাম্পও আয়োজন করত তাঁরা। এই ক'বছরে ওদের পারিশ্রমিক হয়েছে ৪৯,৫০০ টাকা। একটা পয়সাও ওরা নেয়নি।" 


উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ১৬ মে নিজের ঘর থেকে আরুষির দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিস। পরের দিন উদ্ধার হয়েছিল বাড়ির পরিচারক মেহরাজের দেহ। এরপরই আরুষি এবং মেহরাজ খুনের তদন্তে নামে গোয়েন্দারা। ২০১৩ সালে এই মামলায় ডাক্তার দম্পতি রাজেশ-নূপুরকে কারাবন্দি করে পুলিস। দীর্ঘ চার বছর মামলা চলার পর চলতি বছর ১২ অক্টোবর নূপুর তলওয়ার এবং বাবা রাজেশ তলওয়ারকে নির্দোষ ঘোষণা করে এলাহবাদ আদালত।