ওয়েব ডেস্ক : চাকরি পেয়েছেন? অফার লেটারে স্যালারি ব্রেক আপ তো নিশ্চই রয়েছে? রয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ডের কথাও। আইন অনুসারে প্রত্যেক মাসে একজন কর্মচারীর নামে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিএফ-এ জমা করার নিয়ম প্রতিটি সংস্থার। সরকারি হোক বা বেসরকারি। প্রতি ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু, বারবার অভিযোগ উঠেছে দেশের একাধিক সংস্থা কর্মীদের সেই টাকা আত্মসাত্‍ করেছে। মামলাও হয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে। তবে, কাজ কতটা হয়েছে তা নিয়ে, সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি আজও।


সম্প্রতি, একটি সমীক্ষায় প্রকাশ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে কর্মীদের পিএফ-এর টাকাই জমা দেওয়া হয়নি। দেশের শ্রম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এবার সেই রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে বলে খবর।


২০১৫-১৬ অর্থবর্ষের নিরিখে প্রকাশিত তালিকায় ১ নম্বরে রয়েছে তামিলনাড়ু। রাজ্যের ২ হাজার ৬৪৪টি এমন সংস্থা রয়েছে যারা তাদের কর্মীদের পিএফ-এর টাকা জমা করেনি। এরমধ্যে যেমন রয়েছে বেসরকারি সংস্থা, তেমনই রয়েছে সরকারি সংস্থাও। তামিলনাড়ুর পরই রয়েছে দেশের বাণিজ্যনগরী সম্বলিত রাজ্য মহারাষ্ট্র। অন্যদিকে, এই তালিকায় পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। তাদের স্থান পঞ্চম। এখানে ৮৮৫টি সংস্থা তাদের কর্মীদের পিএফ বকেয়া রেখেছে বলে মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে।


সব মিলিয়ে গোটা দেশে এই মুহূর্তে পিফ ডিফল্টারের সংখ্যা ১০ হাজার ৯৩২। যা ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষের তুলনায় অনেকটাই বেশি। কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে বর্তমানে গোটা দেশে প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ বকেয়া রয়েছে প্রায় ১ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা।  


পশ্চিমবঙ্গে, তালিকাটা সুদৃঢ় হওয়ার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে একটি বিশেষ তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী পাট ও চা-শিল্পের ভরাডুবি।   


ফলে, এখনই সচেতন হয়ে যাওয়া ভালো। আপনার নাম নেই তো সেই তালিকায়?