জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আশঙ্কা ছিলই। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করার পর ফের শুরু হয়েছে কালো টাকা সাদা করার কারবার, তাও আবার খাস রাজধানী দিল্লিতেই! আসরে নেমেছে প্রথমসারির স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। কীভাবে? পর্দাফাঁস করল জি নিউজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্যবধান ৬ বছরের। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, আচমকাই  ৫০০ ও ১০০০ হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। তখনও বেআইনিভাবে কালো টাকা সাদা করে নিতে তৎপর হয়েছিলেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। ব্যতিক্রম ঘটল না এবারও।


আরও পড়ুন: Manipur Violence, Amit Shah: ১০ লাখ ক্ষতিপূরণ ঘোষণা অমিত শাহের!


জি নিউজের স্টিং অপারেশনে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে ২ হাজার টাকার নোট বদলে নেওয়ার জন্য এখন বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে সোনা। শুধু তাই নয়, বেআইনি পথে ২০০০ টাকার নোট বদলের কারবারে জড়িত পিপি জুয়েলার্স, ত্রিভোবনদাস ভীমজি জাভেরির মতো নামজাদা স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। বাজারে এখন ১০ গ্রামের সোনার দাম ৬৩ হাজার টাকা। কিন্তু কেউ যদি ২০০০ টাকার নোটে ১০ গ্রাম কিনতে চান, তাহলে ৭০ হাজার নিচ্ছেন স্বর্ণ ব্যবসারীরা। 


 



কেন? কালো বাজারি পর্দফাঁস করতে দিল্লির এক সোনার দোকানে ক্রেতা সেজে হাজির হয়েছিলেন জি মিডিয়ার রিপোর্টার অভিষেক কুমার। স্টিং অপারেশনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।


২০০০-র নোটে কালোবাজারি
------------
২০০০ টাকার নোটে কোড 'পিংক'


কার্ডে কেনাকাটা করলে সোনার দাম আলাদা। কিন্তু ক্রেতা যদি ২০০০ টাকার নোট দেন, তাহলে একলাফে সোনার দর বেড়ে যায় অনেকটাই।


যাঁরা ২ হাজার টাকা নোট বদল করতে চান, তাঁদের কাছে সোনার কয়েনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি


ব্যাঙ্কের সঙ্গে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের অশুভ আঁতাত। কোনওরকম রেকর্ড ছাড়াই জমা নেওয়া হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট


এর আগে, ১৯ মে বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কারও কাছে ২০০০ টাকার নোট থাকলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা ব্যাঙ্কে জমা করা যাবে। সেইমতো বিভিন্ন ব্যাঙ্কের নোট জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কবে থেকে? ২৩ মে।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)