নিজস্ব প্রতিবেদন: 'মেক ইন ইন্ডিয়া' কর্মসূচিতে তৈরি অত্যাধুনিক টি-১৮ ট্রেন গড়ল নয়া রেকর্ড। রবিবার পরীক্ষামূলক সফরে প্রতিঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটারের গতিবেগে দৌঁড়ল টি-১৮। দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক দৌড়ে ট্রেনের মধ্যে ছিলেন আইসিএফের জেনারেল ম্যানেজার সুধাংশু মনি। এবার প্রতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি চালানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আইসিএফের জেনারেল ম্যানেজার সুধাংশু মনির কথায়,''১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতি ছুঁয়েছে ট্রেন-১৮। এটা একটা ঐতিহাসিক ব্যাপার। এখনও আরও কয়েকটি পরীক্ষামূলক দৌড় বাকি''। আগের পরীক্ষামূলর দৌড়ে ১৭০ কিলোমিটার ঘণ্টায় গতি তুলেছিল ট্রেনটি। এর আগে তেজস ভারতীয় ট্র্যাকে ১৮০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টার গতি তুলেছিল। বর্তমানে দিল্লি থেকে ঝাঁসি গতিমান এক্সপ্রেস ১৬০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টায় দৌড়তে পারে। ট্রেন ১৮-এর এদিনের পরীক্ষামূলক দৌড়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। লিখেছেন,'এত গতিতেও স্থির হয়ে রয়ছে জলের বোতল'। 



এর আগে মোরাদাবাদ-বরেলি রুটে পরীক্ষামূলক দৌড়ে সফল হয় ট্রেন-১৮। গত ২৯ অক্টোবর চেন্নাইয়ে প্রথমবার চালানো হয় ট্রেন ১৮। ট্রেনটি ধীর গতিতে চালানোর সময় কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছিল। রেলমন্ত্রক অবশ্য জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক দৌড়ের সময় খুঁটিনাটি কিছু সমস্যা থাকেই। মেক ইন্ডিয়া কর্মসূচির আওতায় চেন্নাইয়ে রেলের কারখানায় সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে ট্রেন-১৮। মাত্র ১৮ মাসের মধ্যেই তৈরি হয়েছে এই ট্রেন। রেলওয়ে সূত্রে খবর, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই পাকাপাকিভাবে পরিষেবা শুরু করবে ট্রেন ১৯।


তিন দশক ধরে পরিষেবা দেওয়া দিল্লি-ভোপাল শতাব্দী এক্সপ্রেসের পরিবর্তে আনা হচ্ছে ‘ট্রেন ১৮’। বাড়তি কী সুবিধা থাকছে ইঞ্জিন বিহীন ট্রেনটির? ‘সেল্ফ প্রপলেড ইঞ্জিনলেস’ ট্রেনটি শতাব্দী এক্সপ্রেসের থেকে ১৫ শতাংশ কম সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছবে। এমনকি ব্রেক কষার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ বিদ্যুত খরচ কম করবে ট্রেনটি। মোট ১৬টি কামরার ১১২৮টি আসন রয়েছে। এখন সবকটি ‘চেয়ার কার’। পরবর্তীকালে বেশ কিছু কামরা স্লিপার ক্লাসে রূপান্তরিত করা হবে। জানা যাচ্ছে রাজধানী এক্সপ্রেসে পরিবর্তে এমনই ‘ইন্টারসিটি ইলেক্ট্রিক মাল্টিপল ইউনিট’ ট্রেন আনা হবে। 


আরও পড়ুন- ইসলামি রীতির বিরুদ্ধে পোশাক, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের