নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে প্রয়াত তরুণ গগৈ। অসমের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা গগৈয়ের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তরুণের শারীরিক অবস্থা গতকাল থেকেই সঙ্কটজনক ছিল। শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। সেই সমস্যা নিয়ে ২ নভেম্বরে গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন গগৈ। আজ, সোমবার সকালের দিকে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, তরুণের শারীরিক অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্কটই আর কাটল না।


২৫ অগস্ট কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তরুণ গগৈ। প্রায় দু'মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ২৫ অক্টোবর ছাড়া পান। কিন্তু গত ২ নভেম্বর নানা জটিল সমস্যা নিয়ে আবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। ভেন্টিলেশন সাপোর্টও দিতে হয়। গগৈয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে, খবর পাওয়া মাত্রই তাঁর বহু সমর্থক হাসপাতালের বাইরে ভিড় জমান।


১৯৩৬ সালের ১ এপ্রিল রঙ্গাজন টি এস্টেটে এক তাই-অহম অসমীয় পরিবারে জন্ম গগৈয়ের। তাঁর বাবা ছিলেন ওই এস্টেটেরই চিকিৎসক। মা ছিলেন বিখ্যাত কবি গণেশ গগৈয়ের ছোট বোন। পড়াশোনার শুরু ওই টি এস্টেটেরই এক স্কুলে। পরে জোরহাটেই তাঁর শিক্ষাজীবন কাটে। ১৯৭২ সালে ডলি গগৈয়ের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন তরুণ। তাঁদের দুই সন্তান।


অবশ্য ততদিনে তাঁর রাজনৈতিক জীবন দিশা পেয়ে গিয়েছে। এক বছর আগেই, ১৯৭১ সালেই তরুণ জোরহাট থেকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন। নানা উত্থান-পতন। নানা বর্ণ, নানা ছন্দ, নানা সুর। ১৯৭৬ সালে তরুণ প্রথম সর্বভারতীয় মুখ হিসেবে পরিগণিত হলেন। ওই বছরই তিনি অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির যুগ্ম সচিব নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি প্রথম বারের জন্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হন। পর পর তিন বার মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকেন। 


দেশের এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে।


আরও পড়ুন:  করাচি একদিন ভারতের অংশ হবে: দেবেন্দ্র ফড়নবিশ