নিজস্ব প্রতিবদন : ২০১৫ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে বারবার মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে  বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন। এবার সেই মুখ্যমন্ত্রীর 'জনতার দরবারে' হাজির হয়ে গ্রেফতার হলেন উত্তরাখণ্ডের এক শিক্ষিকা। শুধু গ্রেফতারই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁকে চাকরি থেকেও বরখাস্ত করল শিক্ষা দফতর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গেছে, উত্তরা বহুগুণা নামে ওই শিক্ষিকা গত ২৫ বছর ধরে উত্তর কাশীর একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। তাঁর স্বামী ও দুই সন্তান দেরাদুনেই থাকতেন। ২০১৫ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর দেরাদুনের বাড়িতে একা হয়ে যায় উত্তরা বহুগুণার সন্তানরা। কার্যত তারপর থেকেই তাঁকে দেরাদুনে বদলি করার আর্জি নিয়ে শিক্ষা দফতর থেকে মুখ্যমন্ত্রী দফতরে ঘুরে বেরাচ্ছেন তিনি। মানবিকতার দিক থেকে তিনি বদলি চেয়ে দরবার করছেন। অথচ বহুগুণার অভিযোগ, কোনও ভাবেই তাঁর কথা শোনা হচ্ছে না।


আরও পড়ুন- দক্ষিণ পূর্ব রেলের যাত্রীদের জন্য সুখবর,দীর্ঘ লাইন এড়িয়ে অ্যাপেই কাটুন টিকিট


অবশেষে কোনও উপায় না দেখে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র রাওয়াতের 'জনতা দরবারে' হাজির হন শিক্ষিকা। আশা ছিল যদি মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি জানিয়ে কোনও কাজ হয়। কিন্তু এবার শুধুমাত্র প্রত্যাখ্যান নয়, তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিলেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী।


 



উত্তরা বহুগুণার অভিযোগ, তাঁর কথা শোনা হচ্ছিল না বলে তিনি বারবার একই কথা বলতে থাকেন। আর তাতেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ওপর চিত্কার করে ওঠেন। সেই সঙ্গে তাঁকে অবিলম্বে বহিষ্কারের নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাতেই  ভেঙে পড়েছে তিনি।


এদিকে, গোটা ঘটনাটি ঘটে ক্যামেরার সামনে। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজ্যের বিরোধীরা। উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত বলেন, বিজেপি সরকার বারবার অসহিষ্ণুতার পরিচয় দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন ব্যবহার কাম্য নয়। তিনি এখনই মুখ্যমন্ত্রীর নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার আবেদন জানিয়েছে।