ওয়েব ডেস্ক: চিন থেকে মেঘ আসছে ভারতে। জলভরা মেঘ। খরার দেশে নামবে সজলধারা। ধুয়ে যাবে ধরা। আবার আমরা গেয়ে উঠব, সুজলাং সুফলাং শস্য শ্যামলাং। এনএসজিতে যতই বিরোধিতা থাক, চিনসাগরে যতই যুদ্ধের মহড়ার জুজু থাক, অরুণাচলে যতই চিনের অনুপ্রবেশ থাক, বৃষ্টি নামানোর প্রশ্নে ভারতের পাশেই প্রতিবেশী দেশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তীব্র খরার কোপে এ বছরও জর্জরিত ছিল মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ এলাকা। ফসল নষ্ট। প্রাণ দিয়েছেন একাধিক চাষি। জল সংরক্ষণে জোর দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই ভয়াবহতা কাটাতে ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল চিন। ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তির মাধ্যমে মহারাষ্ট্রে মেঘের শরীর বেয়ে বৃষ্টি পাঠাতে তৈরি চিন।


কৃত্রিমভাবে মেঘ আনার প্রযুক্তি চিনে কার্যকর সেই ১৯৫৮ সাল থেকেই। যেখানেই বৃষ্টির প্রয়োজন, সেখানেই হালকা মেঘের মধ্যে সিলভার আয়োডাইড লবণ ছুড়ে দিয়ে সেই মেঘকে বৃষ্টিতে রূপান্তরিত করা হয়। ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকের আগে দূষিত বাতাস দূর করার জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিন। ২০০৯ দীর্ঘ খরা থেকে বাঁচতে এই উপায়ে কৃত্রিম তুষারপাত ঘটায় চিন। 


মহারাষ্ট্রে তীব্র খরা থেকে মুক্তি পেতে এই প্রযুক্তিই ব্যবহার করতে চলেছে ভারত। চিনের বেশ কিছু কর্তাব্যক্তির সঙ্গে আলোচনাও করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। চিনের বিজ্ঞানীদের প্রতিনিধি দলও ঘুরে গিয়েছে ভারতে। সরকারি স্তরে আলোচনা সফল হলে চিনের বিজ্ঞানীরা এই প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দেবেন ভারতীয় বিজ্ঞানীদের।