মমতায় সংশয়। ভরসা এখন মোদী। তিস্তা চুক্তি নিয়ে যে আশঙ্কার কাঁটা থেকেই যাচ্ছে তা স্পষ্ট করে দিলেন শেখ হাসিনা। মুখ্যমন্ত্রীর তোর্সা প্রস্তাবে যে তাঁর সায় নেই তাও বুঝিয়ে দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।হাসিনার সফরে দিল্লির অবস্থানেও স্পষ্ট, তিস্তার বিকল্প নিয়ে ভাবতে উত্‍সাহী নয় সাউথ ব্লক। ফলে মোদী এবার কী করবেন, এখন সেদিকেই নজর দু-দেশের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলাদেশ জল পাক। কিন্তু রাজ্যের ক্ষতি করে নয়। মুখ্যমন্ত্রী অনমনীয়। তাঁর বিকল্প প্রস্তাব আবার শেখ হাসিনার পছন্দ নয়। রংপুর, লালমণির হাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নিলফামারি। বাংলাদেশের পনেরো শতাংশ কৃষিজমি রয়েছে এই পাঁচ জেলায়। সাত লক্ষ হেক্টর জমির চাষ তিস্তার জলের ওপর নির্ভরশীল। ফলে, ঢাকার কাছে তোর্সা কখনই তিস্তার বিকল্প হয়ে উঠতে পারছে না। মোদী-হাসিনা বৈঠকের পর দু-দেশের যৌথ বিবৃতিতেও নেই তোর্সার উল্লেখ। সেখানে বরং বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা তিস্তা চুক্তি সইয়ের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেন।নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য তাঁর সরকার সব মহলের সঙ্গে কথা বলছে।


তিস্তা চুক্তি সই করে আগামী বছর ভোটে যেতে চাইছেন শেখ হাসিনা।বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিচার করে তাঁর হাত শক্ত করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতার বিকল্প প্রস্তাবে যে মোদীর সায় নেই তা তাঁর বক্তব্যেই পরিষ্কার। আর এখন, তিস্তার জলের জন্য মোদীর দিকেই তাকিয়ে হাসিনা।


সোমবার, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে তিস্তা নিয়ে কোনও কথা হয়নি বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহল বলছে তিস্তা নিয়ে কথা হয়নি দাবি করে মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, নিজের অবস্থানে তিনি অনড়। রাজ্যকে এড়িয়ে ঢাকার সঙ্গে তিস্তা চুক্তি করতে কেন্দ্রের সামনে কোনও আইনি বাধা নেই। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনমনীয় থাকলে নরেন্দ্র মোদী কি সেই পথেই হাঁটবেন? এই নিয়েই এখন সীমান্তের দু-পারে চলছে জল্পনা।