ওয়েব ডেস্ক: মে মাসে  চূড়ান্ত হবে তিস্তা জল বণ্টন চুক্তি। কিন্তু উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে, তিস্তা তো শুধু নদী নয়। তিস্তার জল তাদের লাইফ লাইন। শেষ পর্যন্ত কোন শর্তে দু দেশের রফা হয়, সে দিকেই এখন তাকিয়ে, নদীর দু কূল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'তিস্তাপারের বৃত্তান্ত'
তিস্তা শুধুই একটা নদীর নাম নয়।  এ নদীর বাঁকে-বাঁকে রয়েছে উত্তর বাংলার মানুষের বেঁচে থাকার কাহিনী। সিকিমের কাংসেতে জন্ম তিস্তার। কলিম্পং ছুঁয়ে জলপাইগুড়ি হয়ে বাংলাদেশ। শেষে মিশে যাওয়া যমুনার (ব্রহ্মপুত্র) সঙ্গে। দেশভাগের পরেও বেশ কিছু বছর আপন খেয়ালে বয়ে চলেছিল তিস্তা...বিনা বাধায়...


জল নিয়ে টানাপোড়েন
১৯৭৫ জলপাইগুড়ির গাজোলডোবায় তিস্তায় বাঁধ দেওয়া হয়।  এরপরেই জল আর পানি নিয়ে  দু দেশের টানাপোড়েন শুরু। ১৯৮৩ সালে ঠিক হয় তিস্তার ৩৯% জল বাংলাদেশকে দেওয়া হবে। তবে খুশি হয়নি বাংলাদেশ। ১৯৮৪ সালে জয়েন্ট রিভার কমিশনের দীর্ঘ বৈঠকে ঠিক হয় ৩৭%জল দেওয়া হবে ঢাকাকে। 


এর পর  সমস্য তৈরি করল পাহাড়। সিকিমে পাহাড়ের উপর একের পর এক জলবিদ্যুত্ কেন্দ্র হয়েছে তিস্তার উপর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমতলে রুগ্ন হয়েছে তিস্তা। ৮টি বাঁধ পার করে আর আগের মত জল পৌছয় না সমতলে। প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে জলের পরিমাণ। ফলে দুই বাংলাতেই জলে টান পড়েছে।  সেই সঙ্গে চুক্তি নিয়ে আশঙ্কা বেড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। রাজ্য সরকার বলছে,তিস্তা চুক্তিতে আপত্তি নেই... কিন্তু রাজ্যবাসীকে  বঞ্চিত করা যাবে না।  একই কথা বলছেন তিস্তা পারের মানুষজনও।