নিজস্ব প্রতিবেদন: নীতীশের সঙ্গে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করার পর অমিত শাহ বড়মুখে দাবি করেছিলেন, আরএলএসপি-র উপেন্দ্র কুশওয়া এনডিএ শিবিরেই রয়েছেন। কিন্তু অমিতের ঘোষণার অব্যবহিত পরেই লালুপ্রসাদের যাদবের পুত্র তেজস্বীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করলেন উপেন্দ্র। তবে দুই নেতার সাক্ষাত্ নেহাতই কাকতালীয় বলে দাবি করা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উপেন্দ্রর সঙ্গে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে ভাঙতে চাননি তেজস্বী যাদব। তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ''বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক তো নয়। একদিনেই সব কিছু চূড়ান্ত হয় না। ধীরে ধীরে গাড়ি এগিয়ে চলে''।



শুধু উপেন্দ্রই নন, এনডিএ-র আর এক শরিক রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসোয়ানের সঙ্গে ফোনে তেজস্বীর কথা হয়েছে বলে চাউর হয় সংবাদমাধ্যমে। ফোনে দুই নেতার কথোপকথন হয়েছে বলে কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন তেজস্বী। তাঁর কথায়, ''যার সঙ্গে যে কথাই হয়েছে, উপযুক্ত সময়েই প্রকাশ্যে আসবে''।                
তেজস্বীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কুশওয়া বলেন, ''এটা নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাত্। সংযোগেই মোলাকাত হয়েছে। কোনও ধরনের কথা ওনার সঙ্গে হয়নি।'' বলে রাখি, অরবলের সার্কিট হাউসে তেজস্বীর সঙ্গে বৈঠক করেন কুশওয়া। 



প্রসঙ্গত এদিনই দিল্লিতে নীতীশকে পাশে নিয়ে অমিত শাহ ঘোষণা করেন, বিহারে জেডিইউ-র সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের আসনরফা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সম্মানজনক আসনের দাবিতে গোঁ ধরেছিলেন নীতীশ কুমার। এর আগেও পটনায় গিয়ে নীতীশের সঙ্গে আসন রফা চূড়ান্ত করতে পারেননি অমিত শাহ। প্রথম থেকেই বড় শরিক হিসেবে ২২টি আসন দাবি করে আসছিল বিজেপি। কিন্তু বিজেপির চেয়ে কম আসনে লড়াই করতে চাননি নীতীশ কুমার। অবশেষে বৃহস্পতিবার মিলল রফাসূত্র। বিরোধীরা যখন বিজেপির বিরুদ্ধে জোট করছে, তখন আর ঝুঁকি নিতে চাননি অমিত শাহ। সমঝোতার পথেই হাঁটলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বলেন, ''২০১৯ সালে বিহারে লোকসভা নির্বাচনে সমান সমান আসনে লড়াই করবে বিজেপি-জেডিইউ। অন্য শরিকরাও সম্মানজনক আসন পাবেন। আসনবণ্টন সংখ্যা পরে জানানো হবে''। 



তবে শুধু জেডিইউ-ই নয়, উপেন্দ্র কুশওয়া ও রামবিলাস পাসোয়ানকেও যে বঞ্চিত করা হবে না, তাও জানিয়ে রেখেছেন অমিত শাহ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন,''উপেন্দ্র কুশওয়া ও রামবিলাস পাসোয়ান আমাদের সঙ্গে আছেন। নতুন শরিক যোগ দিলে সকলেরই আসন কমে''। 



বিহারে ৪০টি লোকসভা আসন। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে বিজেপি ২২টি আসন দখল করে। ২০১৪-র নির্বাচনে বিহারে ৩টি আসন জিতেছিল উপেন্দ্র কুশওয়াহার আরএলএসপি।ফলে জেডিইউ-বিজেপি জোট হলে গতবারের চেয়ে আসন সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে এলজেপি ও আরএলএসপি-র। ইতিমধ্যেই হাওয়া বেগতিক হতে শুরু করেছে। ফলে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন মোদী-শাহ, তা দেখার।      


আরও পড়ুন- দুঃখের খবর, আর দেখা যাবে না তৈমুরকে!