নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বাধীনতা দিবসে রাজধানীতে আত্ঘামতী হামলার ছক কষেছে জঙ্গিরা। এমনটাই খবর ছিল গোয়েন্দা সূত্রে। এবার সেই আশঙ্কা আরও জোরদার হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার জম্মুতে পুলিসের জালে আটক এক কাশ্মীরি তরুণ। তার কাছ থেকে ৮টি তাজা হ্যান্ড গ্রেনেড ও ৬০,০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। জানিয়েছে জম্মু পুলিস।


জম্মুর আইজি এস ডি সিং সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ওইসব গ্রেনেড নিয়ে ‌যাওয়া হচ্ছিল দিল্লিতে। স্বাধীনতা দিবসে রাজধানীতে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ওইসব গ্রেনেড ব্যবহার করা হতে পারত। আটক ‌যুবকের নাম আরফান ওয়ানি। তার বাড়ি দক্ষিণ কাশ্মীরের অবন্তিপোরায়। জম্মু গান্ধীনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


আরও পড়ুন-দেশের যে কোনও জায়গা থেকে দেওয়া যাবে ভোট, নতুন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে কমিশন


পুলিস এখন ওই ‌যুবককে জেরা করছে। শহরে ও শহরের বাইরে কাদের সঙ্গে তার ‌যোগা‌যোগ রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস। পাশাপাশি ওই গ্রেনেড কোথায় ও কেন নিয়ে ‌যাওয়া হচ্ছিল সে সম্পর্কেও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে পুলিস।


উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, রাজধানীতে ঘাপটি মেরে রয়েছে জইশের লোকজন। স্বাধীনতা দিবসের দিনই তারা আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে। ফলে দিল্লিতে পুলিসকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন দিল্লিতে ঘাঁটি গেড়েছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই আবদুল রউফ আসগারের ঘনিষ্ঠ এক জঙ্গি সহ ৯ জঙ্গি। মহম্মদ ইব্রাহিম নামে ওই জঙ্গি একসময় রাউফের দেহরক্ষী ছিল। এবার তাকেই পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে আত্মঘাতী হামলা করার জন্য। সবেমিলিয়ে ৯ জন জঙ্গি রাজধানীতে ঢুকেছে বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন-সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫এ বাতিলের মামলার শুনানি আজ, উত্তাল কাশ্মীর


ইব্রাহিম ছাড়া আরও একজন জঙ্গি দিল্লিতে ঢুকেছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। সেও জইশ-ই-মহম্মদ সদস্য। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনু‌যায়ী গোয়েন্দাদের দাবি এ বছর মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে ভারতে ঢুকেছে ইব্রাহিম। এখন সে দিল্লিতে। রাজধানীতে জইশের নেটওয়ার্কের সঙ্গে ‌যোগা‌যোগ করছে ইব্রাহিম। উমর নামে আরও এক জঙ্গি কাশ্মীর দিয়ে ভারতে ঢুকে দিল্লিতে হামলা চালানোর ছক কষেছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।


রাজধানীতে গোটা হামলার ছক তদারকি করছে মাসুদ আজহারের ভাই অবদুর রউফ আসগার। ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি কা‌র্যকলাপ চালানোর ক্ষেত্রে সে-ই এখন জইশের সেকেন্ড ইন কমান্ড। জইশকে সাহ‌া‌য্য করছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। পাক জঙ্গিদের অস্ত্র ও বিস্ফোরক ইতিমধ্যেই পাঠানো শুরু হয়েছে বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে।