নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলিসের ধরপাকড়ের বদলা। দক্ষিণ কাশ্মীরে পুলিস কর্মীদের ৯ আত্মীয়কে অপহরণ করল জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার রাতে সোপিয়ান, কুলগাম, অনন্তনাগ ও অবন্তীপোরা থেকে এদের অপরহণ করা হয়। হিজবুল মুজাহিদিন নেতা সৈয়দ সালাউদ্দিনের ছেলেকে গ্রেফতারের পরই ওই অপরহণ করল জঙ্গিরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অপহৃত লোকজনদের মধ্যে রয়েছে পুলিসের ডিএসপি পদম‌র্যাদার এক অধিকারিকের আত্মীয়ও। পুলিস অপহরণ সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে চায়নি তবে জানানো হয়েছে কাদের অপহরণ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।


আরও পড়ুন-মুদিখানায় জিনিস কিনতে গিয়েছিল মেয়ে! সপ্তাহ ধরে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় বসে বাবা-মা


সূত্রের খবর, এখনও প‌র্যন্ত ‌যাদের অপহরণ করা হয়েছে তারা হলেন মহম্মদ মকুল ভাট নামে এক পুলিস কর্মীর ছেলে জুবাইর ভাট, নাজির আহমেদ নামে এক স্টেশন হাউস অফিসারের ভাই আরিফ আহমেদ, সালাম রাঠার নামে এক পুলিস কর্মীর ছেলে সুমার আহমেদ, ডিএসি আইয়াজ আহমেদের ভাই গওহর মালিক, পুলিসের এএসআই বসির আহমেদ বাটের চেলে ইয়াসির বাট।


বুধবার সোপিয়ানে খুন হন ৪ পুলিসকর্মী। তার পরেই নিরাপত্তা বাহিনী এলাকায় জোর তল্লাশি চালায়। বেশ কয়েকজন জঙ্গির ঘরে ভাঙচুর করে বলে অভি‌যোগ। এর পরই একের পর এক অপহরণের ঘটনা সামনে চলে আসে।


বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ত্রাল থেকে অপরহণ করা হয় নাসির আহমেদ নামে এক পুলিস কর্মীর আত্মীয় সাবির আহমেদ জাগার। ত্রালেই অপহরণ করা হয় রফিক আহমেদ নামে অন্য এক পুলিক কর্মীর ছেলে আসিফ আহমেদকে।


আরও পড়ুন-বাংলার সোনার মেয়ে স্বপ্নাকে ১০ লক্ষ টাকা, চাকরির প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর


উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীনগরের রামবাগ থেকে হিজবুল প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিনের ছেলেকে গ্রেফতার করে এনআইএ। সাকিল নামে সালাউদ্দিনের ওই ছেলে একটি ল্যাবে কাজ করতো।


এদিকে, আজ সুপ্রিম কোর্টে সংবিধানের ৩৫এ ধারা নিয়ে হওয়া মামলার শুনানি হবে। ওই ধারা অনু‌যায়ী জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষজন বিশেষকিছু সুবিধা ভোগ করে থাকেন। এনিয়ে মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। ৩৫এ ধারা রাখার দাবিতে শুক্রবার কাশ্মীরে বনধ ডেকেছে রাজ্যের একাধিক সংগঠন। ফলে গোটা উপত্যকা এখন থমথমে।