নিজস্ব প্রতিবেদন— ১৪ ফেব্রুয়ারি। ভালবাসার দিন। ওই দিনেই এমন পৈশাচিক আক্রমণ! ভালবাসার দিনের সংজ্ঞাটাই বদলে দিয়েছিল একটি ঘটনা। গোটা দেশ সেদিন কেঁদেছিল। ভালবাসার দিন এমন হবে কেউ ভাবতেই পারেনি। সিআরপিএফ জওয়ানদের ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহাংশ দেখে শিউরে উঠেছিলেন সহকর্মীরাই। তার পর থেকেই ফুঁসছে গোটা দেশ। পুলওয়ামায় সেই বিস্ফোরণে ৪০ জন জওয়ানের সঙ্গে শেষ হয়েছে জঙ্গি আদিল আহমেদ দার। তবে তাঁকে তো স্রেফ ঘুঁটি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ব্রেনওয়াশ করে তাঁকে দিয়েই কাজ হাসিল করেছিল জঙ্গি সংগঠনের মাথারা। বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি সিআরপিএফ—এর কনভয়ে ভিড়িয়ে দিয়েছিল আদিল। মুহূর্তের মধ্যে সব শেষ। এবার পুলওয়ামা বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তদন্তকারী অফিসাররা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একজন কাউন্টার-ইনসার্জেন্সি আধিকারিক জানিয়েছেন, জঙ্গিরা বিস্ফোরক জোগাড় করেছিল স্থানীয় দোকান থেকেই। প্রায় ৭০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও অ্যামোনিয়াম পাউডার কেনা হয়েছিল পুলওয়ামার স্থানীয় বাজারের দোকান থেকে। তবে আরডিএকেস এসেছিল সীমান্তের ওপার থেকে। জৈশ-এ-মহম্মদের কমান্ডার মুদাসির আহমেদ খান, ইসমাইল ভাই ওরফে লম্বু, সমীর আহমেদ দার, ওয়াইজ-উল-ইসলাম ও শাকির বশির মাগরে বিস্ফোরক জোগাড় করেছিল স্থানীয় দোকান থেকে। জিলেটিন স্টিক তারা জোগাড় করেছিল খুনমোহ, ত্রাল, অবন্তিপোরা, লেথপোরা অঞ্চলের বিভিন্ন খনি ব্লক থেকে। 


আরও পড়ুন— বিষধর বিশ! করোনা, আমফানের পর এবার ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে আসাম


জৈশ-এ-মহম্মদের প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের ভাই আব্দুল রাফু আসগার পুলওয়ামা বিস্ফোরণের চক্রান্তে সরাসরি যুক্ত ছিল বলে মনে করছেন  NIA কর্তারা। এছাড়া পুলওয়ামা বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্তদের ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছেন  NIA—র আধিকারিকরা। তাদের জেরা করেই বিস্ফোরণের চক্রান্ত সম্পর্কে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তবে এখনও বেশ কয়েকজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে উপত্যকাজুড়ে। ভারতের ইতিহাস সব থেকে নারকীয় জঙ্গি হামলা বলে কুখ্যাত হয়ে থাকবে পুলওয়ামার বিস্ফোরণ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কোনওভাবেই এই ঘটনার তদন্ত ঢিলেমি দিতে চাইছে না। কড়া সুরে আগেই জানানো হয়েছে, এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কাউকেই রেয়াত করা হবে না।