ওয়েব ডেস্ক: ২০১৩ থেকেই ভারতের রাজনীতিতে 'মোদী ঝড়' নিয়ে মাতামাতি। গোটা দেশে একটাই মানুষ, একটাই মুখ সব ওলট-পালট করে দিয়েছে। 'হর হর মোদী, ঘর ঘর মোদী', এখন মুখে মুখে। দেশের 'সর্বাধিনায়ক', দেশ চালায় যে দল, তারও 'সর্বাধিনায়ক'। নরেন্দ্র মোদী এখন 'ওয়ান ম্যান আর্মি'। কিন্তু এই মোদী ঝড়েও নিজের ঘর বাঁচিয়েছেন যারা এবং কার্যত মোদীকে কুপোকাত করেছেন এমনও নজির রাজ্যে আছে। সংখ্যাটা ১ নয়, ৭। এঁরা কেউই মোদী নন, তবে মোদীর থেকে কমও নন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


মমতা বন্দোপাধ্যায় 
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী। 
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
১৯৯৭ থেকে  তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী, দলের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন নিজেই। 


 


চন্দ্রবাবু নাইডু
দল-তেলেগু দেশম।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। 
রামা রাওয়ের পর ১৯৯৫ থেকে দলের ব্যাটন তাঁর হাতেই। দলের পলিটবুরো আছে বটে, বকলমে দলের সব সিদ্ধান্ত 
চন্দ্রবাবু নাইডুই নেন।



জয়ললিতা (আম্মা)
দল-AIDMK  
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। 
১৯৮৭ সাল থেকেই দলের 'সর্বেসর্বা'। যেমন দলের গণতন্ত্রের কাণ্ডারি তেমন দলে তাঁর একনায়কতন্ত্র। 


 


কে চন্দ্রশেখর রাও 
দল-তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি
তেলেঙ্গেনার মুখ্যমন্ত্রী।
তেলেঙ্গানা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ। নিজের অধিকার, তেলেঙ্গেনার অধিকার প্রাপ্তির পরেও এবং আগেও দলের 'ওয়ান ম্যান আর্মি'। বিরোধীরাও গুণ মুগ্ধ হয়ে তাঁর কথা শোনেন। 



নবীন পট্টনায়ক
দল-বিজু (BIJU) জনতা দল 
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। 
পিতা বিজু পট্টনায়কের মৃত্যুর পর থেকেই দলের হাল ধরেছেন। ব্যাটন হাতে পথ চলা শুরু ১৯৯৭ থেকে। দুই দশক ধরে তিনিই দলের সব সিদ্ধান্তের শেষ কথা। বিজু (BIJU) জনতা দলে নবীন এখনও 'প্রবীণ' হননি। 



নিতিশ কুমার
দল- জনতা দল (বিহার)
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। 
নিজের চেষ্টায় দলগঠন। দলের সভাপতিও নিজেই। বিহারে 'পদ্ম' ফুটতেই দেননি। গোটা জনতা পরিবারকে এক করে দেশের মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে তিনি এখন এক নম্বরে। 



মেহেবুবা মুফতি
দল-পিপল'স ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (জম্মু ও কাশ্মীর)
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। 
মুফতি মহম্মদ সাইদের মৃত্যুর পর থেকেই দলের নেত্রী। এখন পিডিপি এমন একটি দল যা ভারতীয় রাজনীতিতে 'ওয়ান উওম্যান পার্টি'।