ভোটের আগেই দানা বাঁধছে কমিশন-রাজ্য সংঘাতের আশঙ্কা
ভোট ঘোষণার পর কে দেখবে আইনশৃঙ্খলা? এখন থেকেই দানা বাঁধছে কমিশন-রাজ্য সংঘাতের আশঙ্কা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ। ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগান হবে।
ওয়েব ডেস্ক: ভোট ঘোষণার পর কে দেখবে আইনশৃঙ্খলা? এখন থেকেই দানা বাঁধছে কমিশন-রাজ্য সংঘাতের আশঙ্কা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ। ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগান হবে।
মন্ত্রীরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। তাতে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপের এক্তিয়ার নেই। সংবিধানের ৩২৪নং ধারায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে যাবতীয় অধিকার জাতীয় নির্বাচন কমিশনেরই।
কমিশন কীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে তা ১৯৫১-এর জনপ্রতিনিধিত্ব আইনেই স্পষ্ট। সেই আইনেই কমিশনের ক্ষমতা এবং অধিকার সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আইনের ২৮A ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির দিন থেকে ফল ঘোষণা পর্যন্ত সব ভোটকর্মী ও ভোটের কাজে নিযুক্ত পুলিস অফিসার নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ এবং তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন।
তাহলে ভোটপর্বে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কার? আইনজীবীরা বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী দৈনন্দিন আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি রয়েছে রাজ্য তালিকায়। কিন্তু জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী কোনও একটি নির্দিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা যদি ভোট প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে বলে কমিশন মনে করে, সেক্ষেত্রে কমিশন হস্তক্ষেপ করবে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কাজ সহজ করে দিয়েছে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৮A ধারা। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে যে পুলিস অফিসাররা থাকেন ভোটপর্বে তাঁদের নিয়ন্ত্রণের ভার কমিশনের হাতে চলে যায়।