ওয়েব ডেস্ক: প্রথমত, সকলের জন্য শিক্ষা। দ্বিতীয়ত, মেধাকে সর্বাধিকার। এই দুই আদর্শ মেনেই শিক্ষাযজ্ঞে নিজেদের নিমজ্জিত করে রেখেছে গুয়াহাটির প্রাথমিক শিক্ষালয় 'বাল ভবন স্কুল'। যেখানে সম্প্রতি বঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায় ডোনেশন অ্যাডমিশনের রমরমা নজর কেড়েছে, সেখানে প্রতিবেশী রাজ্য আসামের রাজধানীতে মাত্র ৫ টাকায় স্কুল অ্যাডমিশনের ঘটনা সর্বতভাবে শিক্ষণীয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিকেল ৩টে থেকে ৫টা, দুই ঘণ্টার পাঠশালা। এই স্কুলের প্রতিটি ক্লাসরুমে প্রাথমিক শিক্ষার প্রদীপ যেমন জ্বলছে, তেমনই নাচ-গান-অঙ্কনের মত শিল্পভিত্তিক জ্ঞান চর্চাতেও আলোকিত হচ্ছে শিশুরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানাচ্ছেন, "আমাদের মূল লক্ষ্যই হল এমন এক পরিবেশ সৃষ্টি করা যেখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবল উৎসাহের সঞ্চার ঘটে। আমাদের স্কুলের প্রতিষ্ঠার দিন থেকেই মাত্র ৫ টাকায় অ্যাডমিশন করাচ্ছি আমরা। আজও তাই আছে। ৫ টাকাতেই শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাই আমরা। এমন অনেক ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে, যেখানে বাবা-মা হয়ত চাইনি সন্তান স্কুলে আসুক, সেটা অবশ্যই আর্থিক কারণে। দরিদ্র পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীরা যেন অর্থের অভাবে স্কুলছুট না হয়ে যায় সেই জন্যই এত অল্প টাকায় অ্যাডমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ছি আমরা। ৬ থেকে ১৬ বছরের শিক্ষার্থীরা আমাদের স্কুলে ভর্তি হতে পারে। আমরা সবসময় চেষ্টা করি, শিশু মননের সামগ্রিক বিকাশ ঘটুক এবং নিজেদের জ্ঞান সম্পর্কে তাদেরকে অবগত করিয়ে নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা"।   
       
সম্প্রতি শহর কলকাতার এক নামজাদা কলেজে ভর্তি না হতে পেরে আত্মহত্যা করেছিল এক মেধাবী ছাত্রী। ভর্তি না হতে পারার কারণ নম্বর নয়। ইউনিয়নের দাদাদের ডোনেশন ডিমান্ডেই জীবনের সব স্বপ্নকে কফিন বন্দি করেছিল ওই শিক্ষার্থী। স্কুলে ভর্তি হতে ডোনেশন, একথা তো খোদ মুখ্যমন্ত্রীই জানিয়েছিলেন। শিক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া হোক মেধাকে। আর্থিক পরিকাঠামো দিয়ে যেন শিক্ষার সুযোগকে বেধে ফেলা না হয়, এমন একটা প্রচেষ্টা প্রশাসনের তরফে শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সামগ্রিক চিত্র কিন্তু বদলায়নি। এমন অবস্থায় বন্ধু রাজ্য আসামের 'বাল ভবন স্কুল' এই রাজ্য তো বটেই গোটা ভারতের কাছে একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। গুয়াহাটির 'বাল ভবন স্কুলে' এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫৮। এই সংখ্যা হাজার পেরিয়ে লাখো কোটিতে পৌঁছে যাক, এই আশাই রইল আমাদের তরফ থেকে।