জলপাইগুড়িতে থামল না ট্রেন, ঘরে ফিরতে মরিয়া ঝাঁপ ৮ পরিযায়ী শ্রমিকের
জানা গিয়েছে এই ৮ শ্রমিকদের মধ্যে ছ-জন পাঞ্জিপাড়ার বাসিন্দা। বাকি দুজন আলিপুর দুয়ারের বাসিন্দা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গন্তব্য স্থলে নামতে পারেননি স্পেশাল ট্রেন থেকে ঝাপ দিলেন পরিযায়ী শ্রমিক। পাশাপাশি ট্রেনের চেন টেনে নেমে পড়েন আরও ৭ পরিযায়ী শ্রমিক। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজগঞ্জের বেলাকোবা এলাকায়। শনিবার বিকেলে হায়দ্রাবাদ থেকে আসামগামী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের চেন টেনে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের বেলাকোবা এলাকায় নেমে পড়েন বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক।
আরও পড়ুন: করোনা-আমফানে জেরবার মুর্শিদাবাদের কৃষকরা, পাশে দাঁড়ালেন জেলা কৃষি দফতরের উপঅধিকর্তা
জানা গিয়েছে এই ৮ শ্রমিকদের মধ্যে ছ-জন পাঞ্জিপাড়ার বাসিন্দা। বাকি দুজন আলিপুর দুয়ারের বাসিন্দা। এক প্রত্যক্ষদর্শী মিন্টু রায় জানান, আচমকা ট্রেন থামার শব্দ পেয়ে লক্ষ করেন ট্রেন থেকে রেল ট্র্যাকে লাফিয়ে নামছে বেশ কিছু লোক। এরপরই স্থানীয়রা এসে তাঁদের আটকান। খবর দেওয়া হয় পুলিস ও আরপিএফ- কে।
ঘটনায় পাঞ্জিপাড়ার বাসিন্দা মিহির বিশ্বাস নামে পরিযায়ী শ্রমিক জানান "আমরা ৮ জন পুজোর সময় বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে যাই। এরপর লকডাউনের ফলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেনে করে আমরা রওনা দিই। কিন্তু পাঞ্জিপাড়ায় ট্রেন দাড়ায়নি। তাঁরা আরও জানান, "এরপর এনজেপি-তে ট্রেন দাঁড়ালে আমাদের নামতে দেওয়া হয়নি। এরপর ট্রেন ছাড়ে।
তাঁদের আরও অভিযোগ, গন্তব্য ছাড়িয়ে চলে যাওয়ার পর জানতে পারি "এই ট্রেন আসামে যাবে। আসামে গেলে আমরা ফিরব কী করে? তাই তখন আমাদের মধ্যে একজন ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেয়। তাঁকে বাচাতে আমরা ট্রেনের চেন টেনে নেমে পড়ি। আমাদের গ্রামবাসীরা আটকে দেয়।" এরপরও বাড়ি ফেরারই আর্জি জানিয়েছেন ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জলপাইগুড়ি আরপিএফ থানার আধিকারিক সুনিল কুমার পাশোয়ান জানান, " ওদের আটক করে থার্মাল স্কিনিং করার পর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেলাকোবা ফাড়ির পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।