নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনা সংক্রমণের নিরিখে ভারত এখন বিশ্বে তিন নম্বরে। রোজই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এমন অবস্থায় উদ্বেগজনক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে হু হু করে। পরিবেশ, পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে কোনও আশার আলো শোনাতে পারছে না প্রশাসন। সারা দেশে এখন দশ লাখের বেশি মানুষ এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত। কিন্তু জানেন কি, দেশের একটি জায়গায় এখনও পর্যন্ত একজনও করোনায় আক্রান্ত হননি। ৩৬টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত আরব সাগরের উপর অবস্থিত লাক্ষাদ্বীপে এখনও পর্যন্ত একজনও করোনার শিকার হননি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী করে এই অসাধ্য সাধন করল লাক্ষাদ্বীপ! বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাকি দেশগুলির থেকে অনেক আগেই লাক্ষাদ্বীপ যাতায়াতে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। আবার খুব প্রয়োজন ছাড়া কাউকে দ্বীপ ছেড়ে বেরোতেও দেওয়া হয়নি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, একমাত্র এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের জন্যই লাক্ষাদ্বীপ করোনার হানা রুখে দিতে পেরেছে। লাক্ষাদ্বীপের ৭০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ৯৭ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত। সেখানকার এমপি মহম্মদ ফয়জল জানিয়েছেন, বহিরাগতদের প্রবেশ সময়মতে আটকাতে পেরেছিলেন তারা। তাই সেখানে করোনা হানা দিতে পারেনি।


আরও পড়ুন-  এবার বিশ্বরেকর্ড করে ফেলল আরোগ্য সেতু! সরকারি অ্যাপ নতুন উচ্চতায়


জানুয়ারির শুরুতেই কেরলে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়। তার পরই লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসন সতর্ক হয়ে যায়। কারণ লাক্ষাদ্বীপের মানুষদের জরুরি প্রয়োজনে কোচিতে আসতে হয়। ফয়জল বলছিলেন, "আমরা সেই সময় পর্যটকদের প্রবেশ করতে দিইনি। তাছাড়া এখানে এন্ট্রি পারমিট নিয়ে কাজ করতে আসা ঠিকা শ্রমিকদেরও আসতে দেওয়া হয়নি। বহু জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। লোকজন লকডাউন পালন করেছেন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বেরোননি। যারা খুব প্রয়োজনে কোচিতে গিয়েছিলেন তাঁদের জন্য সেখানে দুটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছিল। সেখানে সাতদিন থেকে টেস্ট করিয়ে তবেই এখানে আসতে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিদেশ থেকে কেউ ফিরলে এখনো কোচিতে কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে। এই সময় আমাদের পর্যটন ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়়েছে। তবে আমরা সংক্রমণ ঠেকাতে পেরেছি।"