নিজস্ব প্রতিবেদন : এত কাঠখড় পুড়িয়ে কী লাভ হল? বুধবার আকারে ইঙ্গিতে যেন সেই প্রশ্নই করলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। জয়সলমিরের হোটেলে বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করে জানালেন, "ওঁরা মোটেও খুশি নন।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজস্থান বিদ্রোহ, দিল্লি যাওয়া, সুপ্রিম কোর্টে মামলা- শুরু থেকে সচিন পাইলটের পাশে ছিলেন ১৮ জন বিধায়ক। কিন্তু শেষমেশ গান্ধি পরিবারের সঙ্গে গোপন বৈঠকেই মানভঙ্গ হয়ে গেল সচিন পাইলটের। ফিরেও এলেন রাজস্থানে। তাহলে রাজ্যে নিজেদের অবস্থান টলমল করে এতদিন লড়াই করে লাভ কী হল! এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে বিদ্রোহী বিধায়কদের মনে।


অন্যদিকে বিদ্রোহী বিধায়কদের মনের অবস্থা যে এখন এমন হবে তা ভালই বুঝতে পেরেছিলেন গেহলট। তাই এদিন সটান হাজির হন তাঁদের হোটেলে। দেখা করে বেরিয়ে আসার সময়ে বলেন, "বিধায়কদের মন খারাপ হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। যেভাবে এই পুরো কাণ্ডটা চলল আর যেভাবে তাঁরা এক মাস ধরে ওঁর সঙ্গে ছিলেন, এটাই হওয়াটা স্বাভাবিক। আমি ওঁদের বোঝালাম যে দেশসেবা করতে, দেশবাসী ও গণতন্ত্রের স্বার্থে মাঝে মাঝে কিছু জিনিস সহ্য করতে হয়।"


সোমবার দিল্লিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ও রাহুল গান্ধির সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেন সচিন পাইলট। তারপরেই মঙ্গলবার ফিরে আসেন জয়পুর। 


তবে ওয়াকিবহল মহল বলছে, সচিন একটু শান্ত হলেও এখানেই রাজস্থান বিবাদের নিষ্পত্তি হয়ে যাবে, এমনটা ভাবারও কোনও কারণ নেই। প্রথমত, এখনও অশোক পাইলটের সঙ্গে সাক্ষাত্ হয়নি সচিনের। উল্টে গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে পাইলট জানিয়ে দেন, তাঁকে যেভাবে পদচ্যুত করা হয়েছে ও জনসম্মক্ষে 'নিকাম্মা' (অযোগ্য) বলেছেন গেহলট, তাতে তিনি খুবই মর্মাহত।


দ্বিতীয়ত, এতকিছুর পর এই অ্যান্টি ক্লাইম্যাক্স-এ বেশ হতাশ তাঁর অনুগামীরা। অর্থাত্ আপাতত সচিনের পজিশন যে আরও জটিল হতে পারে, তা বলাই যায়।


আরও পড়ুন : ১৪ বছর আগে মানিব্যাগ হারিয়েছিল লোকাল ট্রেনে, খুঁজে দিল রেলের পুলিস