নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতারণা করল সরকার। সংসদের প্রত্যেকটা নিয়ম ভেঙে গণতন্ত্রকে হত্যা করল। সেন্ট্রাল হলের মধ্যে ভিডিয়ো করে এমনটাই জানালেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন।  তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা রুল বুক ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ নস্যাত্ করে বলেন, বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। রুল বুক ছিঁড়িনি। তবে, যারা রুলই মানে না, তাদের আবার রুল বুক কিসের! প্রশ্ন তুললেন ডেরেক ও'ব্রায়েন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কৃষি বিল পাশ করা নিয়ে রবিবার নজিরবিহীন হইহট্টগোল দেখা গেল রাজ্যসভায়। বিরোধী সাংসদরা ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। রুলবুক হাতে নিয়ে 'হায়, হায়' স্লোগান দেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ডেপুটি স্পিকারের মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। মার্শাল এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। টুইটে ডেরেক স্বীকার করে নেন, মাইক্রোফোন ভেঙেছেন এক সাংসদ। তবে, ডেরেক জানান, বিরোধীদের এই প্রতিবাদ রাজ্যসভা টিভিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।    


ডেরেক অভিযোগ করেন, বিরোধীরা ভোটাভুটি চেয়েছিল। কিন্তু সরকারের হাতে নম্বর না থাকায় সেই পথে হাঁটেনি। সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর কথা বললেও মানেনি সরকার। বিরোধীদের এই অধিকার হরণ করা হলো। ভোট ছাড়াই পাশ হয়ে গেল বিল। ডেরেকের মতে, সরকার দাবি করছে ঐতিহাসিক দিন। হ্যাঁ এটা ঐতিহাসিক দিন, তবে গণতন্ত্র হত্যা করার। রাজ্যসভায় আলোচনা চলাকালীন ডেরেক বলেন, "৭ বছর আগে জমি অধিগ্রহণ বিল পাশের সময় আমরা মোটে ১৩টি ভোট পেয়েছিলাম। কিন্তু চাষিদের অধিকার রক্ষায় প্রতিবাদ করতে ছাড়িনি। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, জমি ফিরিয়ে দিতে হবে।"



ডেরেক এ দিন আরও বলেন, গত ছয় বছর ধরে কৃষি কর্মণ পুরস্কার বাংলা পেয়ে আসছে। কৃষিতে কেন্দ্রের প্রকল্প তুলনায় অনেক রাজ্যের প্রকল্প। ২০১১ সালের পর চাষিদের আয় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। ৯০ হাজার কোটি টাকা থেকে ২ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। প্রায় ৩ গুণ আয় বেড়েছে কৃষকদের। ডেরেক জানান, খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য় একটি ইস্যু। আমরা সার্বিকভাবে ওই বিলের সমালোচনা করছি। এর মধ্যে রাজ্যের অধিকার, গণবন্টন সমস্যা, পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। 


আরও পড়ুন- ন্যূনতম সহায়ক মূল্য চালু থাকবে, জোড়া কৃষি বিল পাশের পর আশ্বাস মোদীর


মোদীকে উদ্দেশ করে তৃণমূল সাংসদ বলেন, "গতকাল প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বিরোধীরা চাষিদের বিপথে চালিত করছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন, আপনার বক্তৃতার গ্রহণযোগ্যতা কতটা? আপনিই বলেছিলেন, ২০২২ সালের মধ্য়ে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। এই মুহূর্তে কৃষকদের ন্যূনতম যা আয়, ২০২৮ সালের মধ্য়ে দ্বিগুণ হবে না।"