ওয়েব ডেস্ক : দিনটা ২০১৬ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর। ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ চার জঙ্গি আচমকা ঢুকে পড়ে উরির সেনাবাহিনীর ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারে। সেই সময় অধিকাংশ সেনা জওয়ানই ঘুমে মগ্ন। তারই সুযোগ নিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায় তারা। হামলায় প্রাণ যায় ১৯ জন সেনা জওয়ান। সেই দিনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিতে চালানো হবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অবশেষে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেই দিন হাজির। ২৯ সেপ্টেম্বর হঠাত্‍ই চলল হামলা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পাক জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। হাড়হিম করা সেই অপারেশনের কোনও বিস্তারিত তথ্য এতদিন প্রকাশ করেনি সরকার। এবার সেই তথ্যই সামনে উঠে এল এক সংবাদ সংস্থার হাত ধরে। সেই তথ্য অনুসারে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে অংশ নিয়েছিলেন ১৯ জন আধাসেনা। তাদের মধ্যছে ছিলেন একজন কলোনেল, পাঁচজন মেজর, দু'জন ক্যাপ্টেন, একজন সুবেদার, দু'জন নায়ের সুবেদার, তিনজন হাবিলদার, একজন ল্যান্স নায়েক ও চারজন প্যারাট্রুপার। তবে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জানানো হয়নি যে তাঁরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে যাচ্ছেন। সেখানে আরও বলা হয়েছে ওই রাতেই মেজর রোহিত সুরির নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি টিম অপরেশনে বেরিয়ে পড়ে।


আরও পড়ুন- সার্জিকাল স্ট্রাইকের অকাট্য প্রমাণ দিয়ে কংগ্রেস ও আপকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট


বাইরে আসা সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, জঙ্গি লঞ্চপ্যাডের ৫০ মিটারের মধ্যে ঢুকে সেই হামলা চালানো হয়। স্ট্রাইকের ৪৮ ঘণ্টা আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে ভারতীয় সেনার টিম। ফলে, আক্রমণের রাতে কাজ করা অনেক সহজ হয়ে পড়়ে। ধ্বংস করে দেওয়া হয় অস্ত্রাগার।


রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, অপারেশনটা খুবই রোমাঞ্চকর মনে হলেও তা মোটেই সহজ ছিল না। হামলা হয়েছে বুঝতে পেরেই জঙ্গিরাও পাল্টা হামলা চালায়।