ওয়েব ডেস্ক: চব্বিশ ঘণ্টায় ছবার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের। এই ধরনের গোলাবর্ষণে সেনাবাহিনীকে ব্যস্ত রেখে অন্য দিকে দিয়ে কি জঙ্গি ঢোকানোর মতলব আঁটছে পাকিস্তান? বারামুলা সেনা শিবিরে হামলাও কি সেনার নজর ঘোরানোরই চেষ্টা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সার্জিক্যাল অ্যাটাকের জ্বালা জুড়োতে কী করতে পারে পাকিস্তান? শনিবার আমরাই প্রথম তুলেছিলাম বেশ কিছু সম্ভাবনার কথা।


সম্ভাবনা ১- আরও বেশি সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন


একেবারে পাশাপাশি অবস্থিত পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ। কাশ্মীর নিয়ে তাদের মধ্যে নিত্য টানাপোড়েন বিশ্ব মানচিত্রে অন্যতম বিপজ্জনক দ্বৈরথ হিসেবে চিহ্নিত। বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর ২০০৩ সালে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি সই হয়েছিল দুদেশের মধ্যে। ঠিক হয়েছিল, কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখার দুপার থেকে কোনও পক্ষই ক্রস বর্ডার ফায়ারিং করবে না। বারবার সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে পাকিস্তান। ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও তাদের সীমান্ত সন্ত্রাস অব্যাহত। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও ক্রস বর্ডার এবং স্পেকুলেটিভ ফায়ারিং জারি রেখেছে পাক সেনা। সীমান্ত নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের ওপর চাপ বজায় রাখতে আরও বেশি করে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করতে পারে তারা।


আমাদের তুলে ধরা প্রথম সম্ভাবনাই বাস্তব রূপ পেল। দাঁত-নখ বের করে তেড়ে এল পাকিস্তান। চব্বিশ ঘণ্টায় ছবার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল শরিফদের দেশ। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বদলা নেওয়ার মরিয়া প্রয়াস। জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারী গোলাবর্ষণ করে পাক সেনা। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত।


রবিবার রাত থেকে আখনুর, শাহপুরে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে গোলাগুলি চালিয়েছে পাক সেনা। সোমবার নতুন করে মান্ডি ও সৌজিয়ান সেক্টরেও সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাক সেনা। এই ধরনের গোলাবর্ষণে সেনাবাহিনীকে ব্যস্ত রেখেই অন্য দিকে দিয়ে জঙ্গি ঢুকিয়ে দেয় পাকিস্তান।


বারামুলা সেনা ক্যাম্পে হামলাও কি সেনার নজর ঘোরানোর চেষ্টা? এই সম্ভাবনার কথাই এখন ভাবাচ্ছে ভারতীয় সেনাকর্তাদের। জম্মু-কাশ্মীরের পাঁচটি সেক্টরই নয়, সোমবার


পঞ্জাবের গুরদাসপুরেও সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। গুরদাসপুরে BSF-এর চাকরি পোস্ট লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে একদল সন্দেহভাজন। আট- দশ জন পাকিস্তানিদের একটি দল অনুপ্রবেশের চেষ্টাও করে। CCTVতে তাদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় BSF-এর। রাত থেকে গোলাগুলি শুরু হয় দুপক্ষের। BSF-এর পাল্টা গুলির সামনে শেষ পর্যন্ত পিছু হঠে অনুপ্রবেশকারীরা। তারপরেই এলাকাজুড়ে ব্যাপক তল্লাসি চালায় BSF। শুধু সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘনই নয়, আরও কয়েকটি পাক স্ট্র্যাটেজির রিপোর্ট আমরাই দেখিয়েছি।


সম্ভাবনা ২- সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি অস্বীকার


সম্ভাবনা ৩- বাড়তে পারে জঙ্গি অনুপ্রবেশ


সম্ভাবনা ৪- সন্ত্রাস ভায়া বাংলাদেশ আফগানিস্তান


সম্ভাবনা ৫- ২৬/১১-র আদলে হামলা


সম্ভাবনা ৬- চিনকে আরও বেশি পাশে টানা


সম্ভাবনা ৭- কাশীরকে আরও অশান্ত করে তোলা


পাকিস্তানের দিক থেকে ফের হামলা হতে পারে নানা পথে। তাই সদা সতর্ক ভারত। যে কোনও আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।