নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে মহারাষ্ট্রের কোরেগাঁও ভিমা গ্রাম। নামানো হয়েছে ৫ হাজার পুলিস, ১২০০ হোমগার্ড, ১২ কোম্পানি র্যাফ (আরএএফ) এবং স্টেট রিজার্ভ পুলিস ফোর্স (এসআরপিএফ)। আজ ওই গ্রামে কোরেগাঁও যুদ্ধের ২০১ বছর পূর্তিতে দলিতদের জয়কে উদযাপন করা হচ্ছে। জমায়েত হবেন কয়েক হাজার দলিত। জানা যাচ্ছে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন ভীমা আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজ়াদও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- আত্মসমর্পণ করলেন শিখ নিধনে দোষী সাব্যস্ত সজ্জন কুমার, নিয়ে যাওয়া হল দিল্লির মাণ্ডোলি জেলে


উল্লেখ্য, গত বছর দলিতদের ওই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা তৈরি হয় মহারাষ্ট্র জুড়ে। দলতি এবং মারাঠার মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ভাদু বুদরুক গ্রামে। ওই সংঘর্ষে নিহত হন একজন। বেশ কয়েক জন জখমও হন। ওই জনসভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন জিগ্নেশ মেবাণী, ছাত্রনেতা উমর খালিদ, রোহিত ভেমুলার মা রাধিকা-সহ একাধিক বিশিষ্টজনেরা। এর পর ৩ জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে দলিতদের ডাকা বনধে পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ভয়াবহ হিংসার আকার নেয় মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায়। ভীমা কোরেগাঁও হিংসায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় পাঁচ সমাজকর্মীকে। এনারা হলেন গৌতম নওলাখা, ভারভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজ, ভার্নন গনজালভেস এবং অরুণ ফেরেইরা। তাঁদের গ্রেফতারে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে।


আরও পড়ুন- জেলাশাসকের পা জড়িয়ে কাঁদছেন কৃষক, ভাইরাল ভিডিয়ো, কাঠগড়ায় কমল নাথের সরকার


এ বারে দলিতদের ওই অনুষ্ঠানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, আগেভাগেই কোমর বেঁধে নেমেছে মহারাষ্ট্র পুলিস। ভীমা আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজ়াদকে আটক করার অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে। শনিবার মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে সিপিএম অভিযোগ করে, দু’দিন আগে মুম্বইয়ের একটি হোটেলে আটক করে রাখা হয়েছে আজ়াদকে। বাম মনোভাপন্ন সংগঠন জাতি অন্ত সংঘর্ষ সমিতির সদস্য সুবোধ মোরে, ভীম আর্মি নেতা অশোক কাম্বলে, সুনীল থোরাট, মাধু পাওয়ার-সহ একাধিক নেতাকে শনিবার আটক করা হয়। সিপিআইএম-র তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ভীমা কোরগাঁও হিংসায় জড়িত মিলিন্দ একবোতে এবং মনোহর ভিড়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি জানানো হচ্ছে। তবে, জানা গিয়েছে ভীমা কোরেগাঁও এলাকা সহ প্রায় ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিজেপি ঘনিষ্ঠ নেতা মিলিন্দ-সহ বামপন্থী সাংস্কৃতিক গ্রুপ কবীর কালা মঞ্চের সদস্যদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ফড়নবীশের প্রশাসন।


দক্ষিণপন্থী নেতাদের যুক্তি, কোরেগাঁও যুদ্ধে মারাঠারা লড়েছিলেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে। আর ইংরেজদের হয়ে দলিতদের এই জয়কে উদযাপন করা মানে ইংরেজদের সম্মান জানানো হচ্ছে। এই বিতর্কের জেরেই গত বছর হিংসা সূত্রপাত ঘটে ভীমা কোরেগাঁওয়ে।