নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়েক কিলোমিটারের ব্যবধান। প্রথমে উদ্ধার এক মহিলার ছিন্নভিন্ন দেহ। তারপর কিছুদূরে থেকে উদ্ধার সাত বছরের এক শিশুকন্যার দেহ। আরও খানিকটা দূরে লাইনের ওপর উদ্ধার রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে থাকা আরও দুই শিশু। উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিস একপ্রকার নিশ্চিত, চার জনই অমৃতসর-সাহারসা জনসেবা এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিল। প্রাথমিক অনুমান, কোনওভাবে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছে তারা। তবে এরা সকলেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল না কি তাদের ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েই এখন সন্দেহ প্রবল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: গুজরাটে পাকড়াও দুই সন্দেহভাজন আইসিস জঙ্গি


তদন্তে জানা গিয়েছে, বছর ৩৬-এর নিহত মহিলার নাম অফরিনা খাতুন। সোমবার রাতে অমৃতসর-সাহারসা জনসেবা এক্সপ্রেসে চড়ে  ওই পরিবার অমৃতসর থেকে বিহারের মতিহারি যাচ্ছিলেন। ওখানেই তাদের বাড়ি। রেলপুলিস সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে ৫০ কিলোমিটারেও বেশি গতিতে ছুটছিল ট্রেনটি। অনুমান, প্রথমে ওই মহিলাকে ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। তারপর একে একে শিশুদেরকেও ফেলে দেওয়া হয় চলন্ত ট্রেন থেকে। লখিম খেরি জেলার মাইগলগঞ্জের কাছে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় আফরিনার দেহ। এরপর মঙ্গলবার রাত তিনটে নাগাদ সীতাপুর রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয় সাত বছরের মুনিয়ার দেহ। সীতাপুর পেরোতেই একে একে ফেলে দেওয়া হয়  চার বছরের সামিনা ও ১২ বছরের আলবুলকে। দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তবে সামিনার বয়ান অনুযায়ী, তাদের কাকা মদ্যপ ছিল। সেই তার বোনকে ট্রেন থেকে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ। সামিনার অভিযোগের ভিত্তিতে শিশুদের বাবা ও কাকার খোঁজে মতিহারিতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।  


আরও পড়ুন: হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সইদ সালাউদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি এনআইএ-র